লম্বা ঝুলের স্কার্ট পরে ছবি পোস্ট করেছিলেন। আর তাতেই যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন ধরালেন অভিনেতা সৌরভ দাস! প্রশংসার পাশাপাশি বেজায় কটাক্ষের শিকারও হতে হল তাঁকে। দাঁড়িপাল্লায় মাপলে অবশ্য কটাক্ষের দিকটাই ভারী! নেটজনতার একাংশ আবার সৌরভকে আখ্যা দিয়েছেন, 'টলিউডের রণবীর সিং' বলে।
Advertisment
Pride Month অর্থাৎ লিঙ্গভেদহীন ভালবাসার মাস উদযাপন করতে অনেকেই পোস্ট করেছেন, তবে তাদের থেকে নিজেকে বরং একধাপ এগিয়েই রাখলেন সৌরভ। "পোশাকের কোনও লিঙ্গ হয় না"- সেই বার্তা দিতেই ইনস্টাগ্রামে লম্বা ঝুলের স্কার্ট পরনে ছবি পোস্ট করেছিলেন। আর তাতেই নেটজনতার একাংশ রে-রে করে ওঠেন। কেউ বা তাঁকে "গরীবের রণবীর সিং" বলে কটাক্ষ করেছেন, আবার কেউ বা মন্তব্য করেছেন "জঘন্য লাগছে।" কিন্তু তাতে কি আদৌ কিছু যায় আসে সৌরভের? অভিনেতার সাফ মন্তব্য, "একেবারেই না। বরং আমি এই ট্রোলিং বিষয়টাকে মজা হিসেবেই দেখি।"
সৌরভের সাফ কথা, "রণবীর সিং-ই হোক, কিংবা জিম সার্ভ, হ্যারি স্টাইলের মতো তো অনেকেই এধরণের পোশাক পরেছেন, আমি তো প্রথম নই। তবে এর আগে টলিউডে কেউ ধরণের পোশাক পরে ফটোশ্যুট করেননি। তাই বোধহয় মানুষের কাছে ব্যাপারটা নতুন লাগছে। তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না।" নেতিবাচক মন্তব্য কিংবা সমালোচনার মুখোমুখি হলেও সৌরভ এখন আর গায়ে মাখেন না, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন নিজেই।
অভিনেতা পাশাপাশি এও জানিয়েছেন যে, আমি বিশ্বাস করি, কোনও পুরুষ যদি এধরণের পোশাক পরে বাইরে বেরতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাহলে অনায়াসে বের হতে পারেন। তা নিয়ে কটাক্ষ করার কোনও মানে হয় না। সমকামীদের অনেকেই আমার এমন পদক্ষেপকে সাহসী বলে বাহবা দিয়েছেন। সেই মানুষগুলোর পাশে থাকতে, ওঁদের হয়ে কথা বলতে কিংবা ওঁদের সাহস জোগাতেই এই ফটোশ্যুট। নাহলে তো রামধনু রঙা জামা-কাপড় পরেই ছবি তুলতে পারতাম। কিন্তু আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আর সেটা করে দেখিয়েছি।
সৌরভ মজাচ্ছলে এও উল্লেখ করেন যে, "এই ফটোশ্যুটের আগে হন্যে হয়ে নাকের নথ খুঁজেছি। কিন্তু পাইনি। ওটা নিয়ে অনিন্দিতা মুম্বই চলে গিয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন