Kasba Gangrape-Sourav Palodhi: শহর কলকাতা কি সত্যিই সুরক্ষিত? গতবছর থেকে সিটি অফ জয়, যেন সিটি অফ ভয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের হাসপাতাল-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনওটাই যেন সুরক্ষিত না। দিন দুয়েক আগেই কলকাতার একটি ল কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা সকলেই প্রায় শসাকদলের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁদের অনেকেই আরজি কর নির্যাতনের সময় মিছিলেও নাকি হেঁটেছিলেন। ফাঁসি চেয়েছিলেন ধর্ষকের। শুধু তাই নয়। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অনেকের সঙ্গেই তাঁদের সম্পর্ক বেশ ভাল। তাহলে কি অন্যায়ের শাস্তি হচ্ছে না দেখেই বারবার অপরাধ করার প্রবণতা বাড়ছে?
আরজি কর, বিচার পেলে হয়তো বা অপরাধ করার ইচ্ছে কমত। এমনটাই বলছেন তারকারা। যে সময় বিচারের প্রয়োজন ছিল, সেসময় কোনও বিচার হয়নি। পরিচালক সৌরভ পালোধি এবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে সেই নিয়েই কথা বলেছেন। তিনিও প্রয়োজন অনুভব করেছেন যে শাস্তির দরকার ছিল। তিনি আরজি কর কাণ্ডে সরব হয়েছিলেন, তাই তাঁকে যখন এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বলছেন...
Kasba Gangrape-Tollywood: নির্লজ্জ প্রশাসন! 'ক্ষমতার আস্ফালন প্রদর্শন', ক…
"আসলে ক্রিমিনাল মাইন্ড যার তাঁর মধ্যে কিন্তু ক্রাইম করার প্রবণতা থাকবে। এবং তাঁরা বুঝে গিয়েছে, যে পশ্চিমবঙ্গ এখন এমন একটা জায়গা হয়ে গিয়েছে যেখানে এই ধরণের ক্রাইম করলে, শাস্তি হয় না. বরং বলা উচিত তার থেকেও বড় কথা, সরকারের তরফ থেকে অনেক রকমের সুবিধা এবং সাহায্য পাওয়া যায়। আমি একটু অবাক হবো না ২০২৬ সালে যদি মনোজিৎ নামক ছেলেটি, সরকার পক্ষের তরফে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ায় এবং লুটপাট করে ভোট নিয়ে জিতেও যায়। তার সব দোষ মাফ হয়ে যাবে এবং তারই হাতে পায়ে ধরতে হবে একটা কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য। আমি একটুও এক্ষেত্রে অবাক হব না। এবং সত্যি কথা বলতে গেলে কি, ক্রাইম করে যে ছাড় পাওয়া যায় এটা যেমন প্রমাণিত হয়েছিল, ঠিক সেরকমই সরকারি সাপোর্ট পাওয়া যায় এটাও এখন প্রমাণিত। চারপাশের পরিবেশটার কথা ভেবে সত্যিই ভয় লাগছে। দিন দিন পরিস্থিতি ক্রমশই বাড়বে। কারণ, ক্রাইমের প্রতি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমর্থন রয়েছে।"
সৌরভ এখানেই থামলেন না। আর জি কর কাণ্ডের সময়, বহু মানুষ রাত দখল করেছিলেন, পথে নেমেছিলেন। সরকার পক্ষের তরফেও বলা হয়েছিল রাত্রিবেলা মেয়েদের নাইট ডিউটি করার মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার জন্য। এই রাজ্যে ক্রাইম হতে পারে, কিন্তু সকলকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। সৌরভ বলছেন, "মানুষ একার ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই সচেতন হতে পারবে না। আমরা একটা সমাজে বাস করি এটা সমাজের দায়িত্ব সচেতনতা অবলম্বন করা। না হলে তো বিষয়টা অন্যরকম হয়ে যাবে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে ধরনের বাজে স্টেটমেন্ট করেন। কিংবা গতকাল মদন মিত্র যে ধরনের কথাবার্তা বললেন, যে মেয়েটি সেখানে না গেলেই পারতো, আমরা তো এ ধরনের অশিক্ষায় ভরা স্টেটমেন্টগুলো বলতে পারব না। আমাকে বিশেষ করে সচেতন হতে হবে কেন? ক্রিমিনালদের সম্মুখে আমাকে পড়তে হবে কেন? আর জি কর কাণ্ডের যদি একটা ঠিকঠাক শাস্তি হত, তাহলে এই মনোজিতের মতো বেহায়া ছেলেগুলো কোনওরকম অন্যায় করার সাহস পেত? আমার অবাক লাগছে যে এই মনোজিৎ নাকি গত বছর আর জি কর প্রতিবাদের সময় ধর্ষকদের শাস্তি চেয়েছিল। ও জানে, এখানে কিছু হবে না। ওর মাথার ওপর সরকার আছে।"