সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই বুলিংয়ের শিকার হতে হয় তারকাদের। কেউ এড়িয়ে যান, আবার কেউ বা পালটা তোপ দেগে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু সেই আক্রমণ যখন ব্যক্তিগত পর্যায় অবধি এসে পৌঁছয়? টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের (Srabanti Chatterjee) সঙ্গেও বহুদিন ধরে ঠিক এমনটাই হয়ে আসছিল। যার জেরে গত সেপ্টেম্বর মাসেই বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার তার প্রেক্ষিতেই অভিনেত্রীকে কুরুচিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হল এক ব্যক্তিকে।
ধৃত ব্যক্তির নাম মাহাবুবুর রহমান। বাংলাদেশের পুলিশ ওই ব্যক্তিকে খুলনা জেলা থেকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য খুলনার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ধৃতকে পাঁচদিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রাবন্তীর অভিযোগ, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে অনেকদিন যাবৎ অশ্লীল মেসেজ আসছিল তাঁর নম্বরে। শুধু তাই নিয়ে, হোয়াটস অ্যাপ ছাড়াও ফোন নম্বরে ভারতকে গালমন্দ করে অনেক কথা বলা হচ্ছিল। তবে বহুদিন ধরে এমনটা চললেও প্রথমে পাত্তা দেননি তিনি। এদিকে সেসমস্ত ফোন নম্বর ব্লক করেও রেহাই মেলেনি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। পরিবর্তে অন্য নম্বর থেকে মেসেজ আসা শুরু করল। এরপরই রীতিমতো বিরক্ত হয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বারস্থ হন তিনি।
একদিন ফোন ঘাঁটতে গিয়ে সেসব মেসেজ দেখে ভাবেন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে নেওয়া দরকার। কারণ, যা হচ্ছে তা একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। একজনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেই বাকিরাও চুপ হতে বাধ্য! বলে মনে করছেন টলিউড অভিনেত্রী। শ্রাবন্তী সেই সময়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন, “যাঁরা এটা করছেন, তাঁদের বাড়িতেও তো মা-বোন রয়েছেন। কীভাবে একটা মেয়েকে অপমান করতে পারে এরা?”
অভিনেত্রী তখনই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, “অন্যায় দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করাটাও তো অপরাধ!” যিনি কিনা ইতিমধ্যেই ওপার বাংলার ২ দুটি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন। ‘বিক্ষোভ’ নামে ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায়, কারণ এখনও শুটিংয়ের কিছু অংশ বাকি। অন্যদিকে ‘যদি একদিন’ সিনেমায় অনেক আগেই বাংলাদেশি দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি।