/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/28/EfvuCCfR0b0kw5pGCe4x.jpg)
Srabanti on Women safety: নারী সুরক্ষা নিয়ে কী বলছেন তিনি? Photograph: (Instagram)
পরনে সবুজ রঙের পোশাক, সঙ্গে মিষ্টি হাসি - প্রচণ্ড রোদে যখন চারপাশ ঝলসে যাচ্ছে, তখন একটুকরো বাগান হয়েই যেন সকলের চোখ জুড়োলেন শ্রাবন্তী। সুন্দরী এই মানুষটিকে মুখ গোমড়া করে রাখতে খুব কম দেখা গিয়েছে। সামনেই তাঁর অনেকগুলি ছবির রিলিজ। তাই তো, হাসিমুখেই এখন সময় কাটাচ্ছেন। শ্রাবন্তীর তাঁর নতুন ছবি হাঙ্গামা.com এবং আরও অন্যান্য ছবি নিয়ে কী বলছেন?
ভিন্ন চরিত্রে তাঁকে দেখা যেতে চলেছে। হাঙ্গামা.Com ছবিতে তিনি ভীষণ মজাদার একটি ভূমিকায়। ঠিক সেরকমই তাঁকে দেখা যেতে চলেছে দেবী চৌধুরানী হিসেবে। সেই নিয়েই নানা কথা বলেন তিনি।
যেখানে এখন আর্ট ছবি এবং সিরিয়াস কন্টেন্টের ছবির ডিমান্ড বেশি, আপনি কেন কমেডি ছবি বেছে নিচ্ছেন?
একটু তো হাটকে বটেই। মানুষ তো একটু আরাম পেতে চায়। জীবনে এমনিই চাপ থাকে তাঁদের। সেখানে দাঁড়িয়ে যদি একটা ছবি তাঁদেরকে হাসাতে পারে, কিংবা আনন্দ দেয়, তাহলে তো আমাদের খুব আনন্দ। নিজেকে রিফ্রেশ করার জন্য, এধরনের ছবি লাগে। আর এই ছবিতে তো বাঙাল ঘটির একটা মিষ্টি লড়াই আছে, যেটা আমরা বাস্তবেও দেখেছি। সব মিলিয়ে একটু হাসার চেষ্টা আরকি।
সামনে সিকান্দার রিলিজ, তাঁর সঙ্গে আপনার ছবি রিলিজ, ভয় হয়?
না! সেরকম ভয় কিছু হয় না। কারণ, বাংলা ছবির একটা দর্শক থাকেই। হ্যাঁ, একটা সমস্যা হয় যে হল পাওয়া, শো পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। যদিও সেটা প্রোডাকশনের বিষয়। আমরা তো চাই মানুষ ছবি দেখুন। আমরা নিজেরা এত মজা করে ছবি বানিয়েছি। মানুষ ছবিটা দেখলে আমাদের ভালই লাগবে। বলিউড ছবিও দেখুক, আমাদের ছবিও দেখুক।
মাল্টি স্টারার ছবিতে শ্রাবন্তীকে বেশি দেখা যায় কেন..
আমি খুব উপভোগ করি বিষয়টা। গল্পটা আসল কথা। যে যার ক্যারেক্টার নিজের মতো করে প্লে করলেই হল। আমার কিন্তু অনেক নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই।
আপনার জীবনের হাঙ্গামা মোমেন্ট কোনটা?
আমার পুরো জীবনটাই হাঙ্গামা মোমেন্ট... ( হাসি )। তবে, এই ছবির ক্ষেত্রেও অনেক হাঙ্গামা মোমেন্ট হয়েছে। আমরা পাহাড়ে শুট করেছি, পরিচালক খুঁজে বেড়িয়েছেন। বিভোর হয়ে গিয়েছি ভিউজ দেখে। সব মিলিয়ে দারুণ হাঙ্গামা করেই কাটিয়েছি আমরা।
ছবির ক্ষেত্রে স্টার এলিমেন্ট, বা মেল লিড বনাম ফিমেল লিড - এই বিষয়টার গুরুত্ব আছে আপনার কাছে?
আমার কাছে মনে হয়, কন্টেন্ট কিং। ছবির গল্প যদি ভাল হয়, তাহলে ফিমেল লিড স্টোরি দারুণ ওয়ার্ক করে। তাঁর নমুনা হল বর্তমানের জনপ্রিয় ছবি লাপাতা লেডিস। মহিলা সন্নিবেশিত একটা ছবি। বানিয়েছেন একজন মহিলা, গল্পের প্রতিটা জায়গায় নারী উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। আর গল্পের নিরিখে যদি স্ট্রং মেল লিড থাকে তাহলে সেটা কিন্তু এক্সট্রা টপিং এর মত।
আপনি তো বাঙাল, আপনি কি বাঙাল ঘটি ঝগড়াটা উপভোগ করেন?
ভীষণ, আমি দারুণ উপভোগ করি। আমার অনেক চেনাজানা মানুষরা আছেন, যারা এদেশীয়। আবার অনেক বাঙাল বন্ধু আছেন। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান এই যে ব্যাপারটা, এটা আমি সাংঘাতিক উপভোগ করি। আমার বাবার খেলা দেখতে যেতেন। কিন্তু, আমি মনে প্রাণে বাঙালি।
আসন্ন দেবী চৌধুরানী, চরিত্রটা করার সময় কোনও শক্তি অনুভব করেছিল?
একদম। আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মেয়ের মধ্যে একজন করে দেবী চৌধুরানী বাস করেন। যখন লড়াই করার সময় হয়, আমরা পিছপা হই না। আমাদের মেয়েদের অনেকগুলো চরিত্রে কিন্তু বাস্তবেও নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। আমার মনে হয় মেয়েরা মনের দিক থেকে খুব স্ট্রং হয়।
নারী সুরক্ষা নিয়ে, শ্রাবন্তীর কী বক্তব্য?
নিজেকে ঠিকভাবে তৈরি করা। প্রপার একজন মেয়ে যেভাবে নিজের সুরক্ষা করতে পারে, সেটা দেখা। দরকার পড়লে ওয়ার্ক আউট করো, নিজেকে সবকিছুর জন্য রেডি রাখো। সব পরিস্থিতিতে যাতে যুদ্ধ করতে পারো, তাঁর জন্য মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে শক্ত হওয়া উচিত। মেয়েদেরকে অবজেক্টিফাই করা হয় আসছে বহুদিন। নারী পুরুষের মধ্যে শারীরিক শক্তি বা গাঠনিক কিছু ভেদাভেদ রয়েছে। নিজের ভালটা বুঝতে হবে মেয়েদের।
ইন্ডাস্ট্রি কী শেখালো?
একটাই শব্দ...ধৈর্য ( দীর্ঘশ্বাস )।
সিনেমা হিট ফ্লপ হলে সমালোচনা বেশি উপভোগ করেন নাকি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা?
সবথেকে বেশি উপভোগ করি, যদি ছবি হিট হয়। সবাই যখন আমায় ভালবেসে জানায় যে খুব ভাল হয়েছে সিনেমাটা। আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়। আমার সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত ভাগ করে নেয়। আমি নিজে কারওর ব্যক্তিগত জীবনে আগ্রহ রাখি না। কারওর সকলের পার্সোনাল লাইফ আছে। উত্থান পতন সব আছে। সেটা নিয়ে না ভেবে, নিজের কাজ করলেই হয়। যে যার মতো ভাল থাকুক।
কিছুদিন আগে একটি শো করতে গিয়ে আপনার হাত ধরে নেন একজন, একটি ঘটনা ঘটে, এটাকে কি সমাজের ফেলিওর বলবেন?
ফেলিওর কিনা জানি না, কিন্তু আমি তো সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিয়ে নিয়েছিলাম। আমি তো বুঝতে পারছিলাম। আমার হাত যদি সামনে না থাকতো, তাহলে আরও অনেক কিছু হতে পারত। এই জন্যই তো বললাম, নিজেদের শক্ত হতে হবে।
একজন বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ কি নায়িকাদের কেরিয়ারে উন্নতি ঘটায়?
একদমই তাই। ভাল এবং বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলে জীবনে একটা পজিটিভিটি তো এসেই থাকে। কারণ, তাঁরা এতগুলো বছর ধরে এত হিট ছবি উপহার দিয়েছেন, ভালবাসা পেয়েছেন তো বটেই।