স্বাধীনতা... আর প্রতিবছর এই দিনেই নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন, যেমন.. মেয়েরা কি সত্যিই স্বাধীন? তাঁদের পোশাক থেকে বাকস্বাধীনতায় আজও কি স্বাধীনতা রয়েছে। নাকি ৭৬ বছর পরও আজও সেই একই চিত্র। পিছিয়ে রয়েছে মেয়েরা?
Advertisment
ইন্ডাস্ট্রিতে নারীকেন্দ্রিক সিনেমার সংখ্যা বাড়লেও কিংবা দেশের নানা জায়গায় মেয়েদের আওয়াজ জোরালো হলেও সবথেকে বেশি সমস্যা অন্তত মেয়েদের জীবনে ঘটে পোশাক এবং বাক স্বাধীনতা নিয়ে। আজও বেশ কিছু জায়গায়, মেয়েদের সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়া তো দূর তাঁদের আলোচনার অংশ বলেও ধরে নেওয়া হয় না। এই প্রসঙ্গে, স্বাধীনতার আগেই মুখ খুললেন শ্রীলেখা মিত্র। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে মেয়েদের পোশাক পরিধান প্রসঙ্গে বললেন...
"স্বাধীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা দুটোর মধ্যে কিন্তু হালকা একটা আস্তরণ রয়েছে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। পোশাক কে কী পড়ছে সেটা একদম ম্যাটার করে না। যেটা আসলেই প্রয়োজন পোশাকটা পরে সেটাকে সঠিকভাবে ক্যারি করা। এবং নিজেকে জাজ করা। আয়নার সামনে দাঁড়াও, নিজেকে দেখো...যদি, মনে হয় যে এই জায়গায় আমার এই পোশাকটা মানাচ্ছে না সেটাই তো স্বাধীন ভাবে একটা ভাবার বহিঃপ্রকাশ। পোশাকের নিরিখে আবার কিন্তু কাউকে বিচার করাও ঠিক না।"
ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। দেখেছেন বহু অভিনেতাদের। নানা মানুষের মন্তব্য, কটাক্ষ থেকে শুরু করে শারীরবৃত্তিয় খোঁটা, সবকিছু সহ্য করার পরেও একজন অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর অভিমত, "যাই পড়া হোক না কেন, সেটা নিজেকে মন থেকে ভাল লাগতে হবে। অস্বস্তিতে ভুগলে কিন্তু খুব চোখে লাগবে। কারণ, শুরু থেকে শেষ কেবলমাত্র চোখ এবং মুখের ওপরেই নির্ভর করে আত্মবিশ্বাসটা।" এখানেই শেষ নয়। মেয়েদের বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গ আসতেই তিনি ভিন্ন মন্তব্য করলেন।
মেয়েদের বাক স্বাধীনতার অধিকার অবশ্যই থাকা উচিত। অবজেকটিফাই করা হলেও, তাদের সত্যি বলার অধিকার দেওয়া উচিত। শ্রীলেখার কথায়, "মেয়েদের কথা বলা নিয়ে, নানা মন্তব্য থাকে। কিন্তু তাঁরা যখন, সত্যি কথা বলবেন, তখন কিন্তু অধিকার দেওয়া উচিত। নিজের ব্যক্তিগত রাইট টুকু বলবে না? নাহলে তাঁর মানুষ হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল।"
নিজেও একজন মা তিনি। শ্রীলেখা, কীভাবে মেয়েকে স্বাধীনতা শিখিয়েছেন তিনি? বললেন, "আমি আমার মেয়ের মা বন্ধু সব একসঙ্গে। তাই বলে, ওকে স্বেচ্ছাচারিতা করতে দিই না। ওকে যেমন বেশ কিছু কাজে অনুমতি দিয়েছি তেমনই, কড়া শাসনে রেখেছি।"