অতিমারীর চরম পরিস্থিতিতে রাত নেই, দিন নেই রেড ভলান্টিয়ার্সরা যেভাবে ছুটে চলেছে, তা নিঃসন্দেহে নজির গড়ে। রাজনৈতিক রং-দল নির্বিশেষেই তারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জারি রেখেছে পরিষেবা। বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের পরিবারের সদস্যরা যখন কেউ অক্সিজেনের অভাবে ধুকছে, কিংবা প্রাণ যায় যায় পরিস্থিতি, সেখানেও সেবায় রত হয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথাও। যে মানুষটি তিনবার ভোটে পরাজিত হয়েও মানবসেবা থেকে পিছিয়ে আসেননি। নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন। তাই বোধহয় আট থেকে আশি, সবার মুখে শোনা যায়, 'ঝড়ের আগে কান্তি আসে'। তাঁদের এই নিঃস্বার্থ পরিষেবা মানুষ ভোটবাক্সের সামনে দাঁড়িয়ে মনে রাখবেন তো? চিন্তিত শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। তাই চব্বিশের পঞ্চায়েত ভোটের কথা আগাম মনে করিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। বললেন, "আমাদের ভুলে যাবেন না কিন্তু"!
Advertisment
একুশে (West Bengal Assembly Election 2021) বাম-শূন্য বিধানসভা হলেও এই অতিমারী আবহে থেমে থাকেননি তাঁরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রেড ভলান্টিয়ার্সরা ছুটে বেড়াচ্ছেন অসুস্থ রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে। কোথায় অক্সিজেনের অভাব, হাসপাতালে বেড নেই, ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না… এহেন নানা সমস্যায় ডাক পড়ছে বামেদের রেড ভলান্টিয়ার্সদের (Red Volunteers)। যথাসাধ্য সাহায্যও করছেন। কিন্তু তবুও বেশ কয়েক জায়গা থেকে এই সংগঠনের সদস্যদের উপর আক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসছে। তবে তাতেও স্পিরিট দমে যায়নি তাঁদের। বরং ঝড়-জল-রোদে পুড়েও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্রয়োজনীয় ওষুধপাতি। কোনও কোনও এলাকায় আবার স্যানিটাইজেশনের কাজেও নেমেছেন রেড ভলান্টিয়ার্সের তরুণ তুর্কীরা।
সেই প্রেক্ষিতেই অগ্রজের মতো রেড ভলান্টিয়ার্সের তরুণ তুর্কীদের বামপন্থী মনোভাবাপন্ন নায়িকার ছোট্ট উপদেশ, "নিজের ঢাক নিজেই পেটাও। জনসংযোগের স্ট্র্যাটেজি বদলাও।"