একুশের শহিদ স্মরণ সমাবেশকে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির ব্যঙ্গ করে বলেন, 'ডিম্ভাত দিবস'। কারণ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নাকি সভার পর ডিম-ভাত খেতে দেওয়া হয়। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম-ঠাট্টার অন্ত নেই! তবে এবার চমক হিসেবে বিরিয়ানির বন্দোবস্ত। আর সেই প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের মহা-কর্মসূচী নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra)।
প্রসঙ্গত, ২ বছর পর তৃণমূলের ‘গ্র্যান্ড ইভেন্ট’, অতঃপর একুশের মঞ্চে (TMC Shahid Diwas 21 July) চমক যে থাকবেই তা আগেভাগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় পুরো টলিপাড়া। সিনেমা, টেলিভিশনের তারকায় এককথায় জমজমাট ২১ জুলাই। ব্যতিক্রমের তালিকায় অবশ্য ২-৩ জন রয়েছেন। মনেপ্রাণে বামপন্থী শ্রীলেখা মিত্র, অনীক দত্তরা সেই তালিকাতেই পড়েন। এবার ছড়ার ভঙ্গিতে একুশে জুলাই নিয়ে শ্রীলেখার মশকরা, "আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি..।"
নায়িকার পোস্টে বাদ গেল না ডিম্ভাত প্রসঙ্গও। কমেন্ট বক্সেই রসিকতা করে লেখেন, "ডিম্ভাতের যুগ চলে গেছে, এখন বিরিয়ানি।" শ্রীলেখার এমন রসিকতা নিয়ে মেতেছেন নেটিজেনরাও। অভিনেত্রীকে সমর্থন করে একপক্ষের মত, 'হ্যাঁ, ডিম-ভাত থেকে এখন সেটার মান বেড়ে বিরিয়ানিতে দাঁড়িয়েছে।' এখানেই অবশ্য থামেননি অভিনেত্রী। ২১ জুলাইকে ব্যাঙ্গ করে একাধিক পোস্ট দেখা যায় তাঁর ফেসবুকে।
<আরও পড়ুন জমজমাট ২১! ‘দিদি’র ডাকে একুশের মঞ্চ ভরালেন ‘পুটু পিসি’, ‘আর্য’, ‘রামকৃষ্ণ’রা:>
দিনের শেষে শ্রীলেখার প্রশ্ন, "আসলে সমস্যাটা আমাদের মধ্যেই। এরপরও আমরা হাসাহাসি করে মূল সমস্যার কথা ভাবব না। এঁদেরকেই ফিরিয়ে আনব। আমরাই তো এমন পরিস্থিতির প্রাপ্য।"
প্রসঙ্গত, মনেপ্রাণে বামপন্থী শ্রীলেখা মিত্র। সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে যোগ না দিলেও একুশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই বাম শিবিরের হয়ে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দুই বিরোধী সবুজ-গেরুয়াদের ছেড়ে কথা বলেন না শ্রীলেখা। রাজনৈতিক ইস্যুতে বিজেপি-তৃণমূলকে তুলোধনা করেন অহরহ শ্রীলেখা। এবার ২১ জুলাইয়ের ক্ষেত্রে তার অন্যথা হল না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন