Sreelekha Mitra: সারমেয়দের সেবা করতে কোনও স্থান কাল পাত্র লাগে? অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র তাঁর এলাকার চারপেয়ে সন্তানদের যেমন খেয়াল রাখেন, ঠিক তেমন রাজ্যের বাইরে গিয়েও তাঁদের সেবা করতে ভুল হল না অভিনেত্রীর। বরং, তিনি তাঁদের খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সুন্দর বেশ কয়েকটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
চারপেয়ে সন্তানগুলো নেহাতই অবলা। ওরা শুধুই মানুষদের সঙ্গে থাকতে চায়, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো - খেলাধুলো করতে চায়। তাঁদেরকে নিয়ে সবসময় সরব শ্রীলেখা। তাঁদের ভাল খারাপ যেকোনও বিষয়েই তিনি নিজের মন্তব্য রাখেন। এমনকি এলাকার বাচ্চাদের নিজের হাতে খাওয়ান পর্যন্ত। তবে, রাজ্যের বাইরে গিয়ে যে তাঁদের থেকে এতটা ভালবাসাই পাবেন, যেন ভাবতেও পারেননি তিনি। নিজের সমাজ মাধ্যমেই তিনি পোস্ট করেছেন এমন কয়েকটি ছবি।
যেখানে দেখা যাচ্ছে, চারপেয়ে সারমেয়েদের সেবা করছেন তিন। রাস্তার ধার থেকে স্টেশন - সর্বত্রই তাঁকে দেখা গেল বাচ্চাদের নিজে হাতে খাওয়াতে। যদিও বা তাঁদের শ্রীলেখার ভাষা বুঝতে অসুবিধা হয় নি। দক্ষিণ প্রদেশের কুকুর হলে কি হবে? ভালবাসার ভাষা বুঝতে কারওর অসুবিধা হয় না। তাঁদেরও হয়নি। শ্রীলেখা মিত্র দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে ভালবাসার সুরে বাংলাতেই কথা বলেছেন। কিন্তু ভালবাসায় কোনও খামতি রাখেননি। তাই তো অভিনেত্রী বলছেন...
/indian-express-bangla/media/post_attachments/09302165-18d.png)
"ঢেকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে ... আমি এবং আমার ছোট্ট তেলেগু প্রাণগুলো। আমি কিন্তু বাংলাতেই কথা বলেছি। আর ওরা কিন্তু বুঝেছে। আরাকু থেকে ফেরার পথে একজন তো আমার সঙ্গে উঠেই পড়ছিল ট্রেনে। ট্রেন ছেড়ে যাওয়া অবধি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল। জানিনা ওরা কী করে বোঝে যে আমি ওদের এত্তটা ভালবাসি। কেন যে আমায় এতটা তাড়াতাড়ি মায়ায় জড়িয়ে ফেলে ওরা?"
চারপেয়ে সন্তানদের জন্য তাঁর ভালবাসা সবসময় আকাশছোঁয়া। তাঁদের সঙ্গে সারাদিন সময় কাটান। বাড়িতেও তাঁদের নিয়ে থাকেন তিনি। প্রসঙ্গে, তাঁর শেষ ছবি মায়ানগর দারুণ প্রশংসা পেয়েছে। এমনকি অনেক অভিনেত্রী এমনও বলেছেন শ্রীলেখার থেকে সকলের শেখা উচিত।