বুধবার মেঘালয়ের রাজনৈতিক সভায় যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুরানে এদিন পুরোপুরি মেঘালয়ের স্থানীয় পোশাকেই দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে শিস গ্রাম কংথং-য়ের প্রসঙ্গ শোনা যায় তাঁর মুখে। মমতা বলেন, এই গ্রামের প্রতিটা নামই একটা সুর। নিজমুখেই অদ্ভূত শব্দ করে সেটা দেখিয়ে দেন। আর মমতার সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটপাড়ার হাসির রোল। এবার ফুট কাটলেন শ্রীলেখা মিত্রও।
Advertisment
প্রসঙ্গত, বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় শ্রীলেখা বরাবরই তৃণমূল-বিজেপিকে বিঁধে থাকেন। এমনকী বিরোধী দুই রাজনৈতিক শিবিরের কর্মকাণ্ড নিয়ে ঠাট্টাও করেন। এবার মমতার মুখে শিস শুনেও ব্যঙ্গ করলেন! যদিও মুখে কোনও কথা বলেননি। একটা সংগৃহীত ভিডিও শেয়ার করেছেন মাত্র। আর তাতেই দেখা গেল অদ্ভূত টুইস্ট! কীরকম?
মমতার মুখে কংথং গ্রামের ভাষা আর শিস ধ্বনির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে 'বাহুবলী' সিনেমার যুদ্ধের এক দৃশ্য। শ্রীলেখার শেয়ার করা সেই ভাইরাল খিল্লির ভিডিও দেখেই নেটপাড়ায় শোরগোল। প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের এই শিস গ্রাম বিশ্বের কাছে আজও বিস্ময়। এখানে প্রকৃত অর্থেই নামের পরিবর্তে সকলকে ভিন্ন ভিন্ন শিস ধ্বনি দিয়ে ডাকা হয়।
খাসি পাহাড়ি অঞ্চলের সোহরা ও পাইনুরসলার মাঝে ছবির মতো সুন্দর কংথং গ্রাম। এখানকার লোকেরা একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগও করে সুরের মাধ্যমেই। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, এই গ্রামে জন্মানো নবজাতকের মায়েরা মনে মনেই সন্তানের জন্য একটা ভিন্ন সুর ভেবে নেন। আর সেই সুরেই ডাকতে থাকেন তাকে। ক্রমে সেটাই হয়ে ওঠে ওই সন্তানের পরিচয়। মেঘালয়ের রাজনৈতিক সভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেভাবে সুর করে কথা বলেই সেখানকার আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে সম্মান জানান, আর তা ভাইরাল হতেই নেটপাড়ায় হাসির রোল। যা নিয়ে এবার বিদ্রুপ করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দিয়ে সেখান থেকেই মমতাকে সম্প্রতি 'হিরকের রানি' বলে বিঁধেছেন শ্রীলেখা। তাঁর মন্তব্য, কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তাঁর ছবি 'এবং ছাদ' স্থান পায়নি শুধুমাত্র তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্যই। সেপ্রসঙ্গেই অভিনেত্রী বলেন, "হিরকের রানির বিরুদ্ধে কথা বললে তাঁর খেসারত তো দিতেই হবে!"