মঙ্গলবার সকালে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ফেসবুক পেড সরগরম। বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীকে। নির্ধারিত বোর্ডিং টাইমের থেকে মিনিট ১৫ দেরি করে ফেলেছিলেন। আর সেই জন্য ফ্লাইট-মিস! বাতিল ভিন রাজ্যে নায়িকার শুটিং। ফেসবুকে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। নীতিবোধ নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন খ্যাতনামা ওই বিমান সংস্থাকে। এবার বিকেল গড়াতেই সেই বিমানবন্দর-কাণ্ড নিয়ে আরেকটি পোস্ট শ্রীলেখা মিত্রর। তাতেই সরগরম নেটদুনিয়া।
শ্রীলেখা যদিও তাঁর পোস্টে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নাম করেননি। তবে, তাঁর লেখা দেখে আর কারও বুঝতে বাকি থাকেনি যে তাঁর নিশানায় 'ঋতু' ছাড়া আর কেউ নন! অভিনেত্রী লেখেন, "ট্রেন হোক বা প্লেন, নিয়ম তো সবার জন্য এক মামা..।" মঙ্গলবার সকালে ঋতুপর্ণার বিমানে না উঠতে পারার ঘটনা নিয়ে যেভাবে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল, তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই শ্রীলেখা মিত্রর এমন পোস্ট। তাঁর পোস্টে সায় দিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন শ্রীলেখা। সেই সময়ে টলিউডের অনেকেই তাঁর কথায় সায় দিয়েছিলেন। এবারও ঋতুপর্ণার বিমানে উঠতে না পারার পোস্টকে কটাক্ষ করেছেন শ্রীলেখা। তিনি অবশ্য এও জানান যে, "আমার এই পোস্ট আসলে কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। একবার আমার সঙ্গেও এমনটা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছেও বোর্ডিং গেট থেকে দূরে থাকায় পৌঁছতে পারিনি। আমাকে ছাড়াই বিমান উড়ে গিয়েছিল। কই তখন তো আমি কোনও পোস্ট করিনি! আমার মাথাতেও আসেনি।"
<আরও পড়ুন: ভিক্টর হয়ে গেলেন BJP-র কল্যাণ সিং! রাষ্ট্রপতির ফেসবুক পেজের পোস্ট ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক>
ঠিক কী ঘটেছে এদিন ঋতুপর্ণার সঙ্গে? অভিনেত্রীর পোস্টে উল্লেখ, তাঁর গন্তব্য ছিল আমেদাবাদ। খ্যাতনামা এক সংস্থার বিমানে যাওয়ার কথা। বোর্ডিংয়ের সময় মঙ্গলবার ভোর ৪.৫৫। অভিনেত্রী পৌঁছন ৫.১০-১২ মিনিট নাগাদ। এখানেই ঘটে বিপত্তি! ঋতুপর্ণাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, অনেক আগেই বোর্ডিং গেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপর ৪০ মিনিট ধরে কর্মীদের অনুরোধ করেন তিনি। কথা কাটাকাটিও হয়। কেঁদেই ফেলেন তিনি। তবে এরপরও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের কোনও হেলদোল ছিল না বলেই অভিযোগ।
ঋতুপর্ণা জানান, মঙ্গলবারই আমেদাবাদে পৌঁছনো তাঁর ভীষণ জরুরি ছিল। মুলিতে শুটিং শিডিউল। আমেদাবাদ থেকে আরও ৩ ঘণ্টা লাগে যেতে। অভিনেত্রী না গেলে প্রযোজনা সংস্থার আর্থিক লোকসান। ক্ষুব্ধ নায়িকা প্রশ্ন ছোড়েন? “প্রযোজককে কী জবাব দেব আমি? আমার কথার-ই বা কী দাম রইল? এই যে এতটা সময়, গোটা ১টা দিন আমার নষ্ট হল, এর দায়টা কে নেবে? ক্ষতিপূরণ-ই বা কে দেবে?” ঋতুপর্ণার দাবি, চাইলে বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখুক, কতটা দেরিতে পৌঁছেছি আমি। শুধু তাই নয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে যাতে পদক্ষেপ করা হয়, কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ওই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিমান সংস্থার কাছেও আর্জি জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এবার সেই বিমানবন্দর-কাণ্ড নিয়েই নাম না করে ঋতুপর্ণাকে তোপ দাগলেন শ্রীলেখা মিত্র।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন