ক্যামেরার সামনে বিনোদিনী হয়ে উঠতে কোনওরকম কসরত বাকি রাখেননি রুক্মিণী মৈত্র। ২ বছর ধরে গোপনে নাচের তালিম নিয়েছেন। সুদীপ্তা চক্রবর্তীর কাছে অভিনয়ের ওয়ার্কশপ করেছেন। এমনকী টলিপাড়ার নায়িকাকে বিনোদিনীর অবতার দিতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে রূপটান শিল্পীদের। শেষমেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি সাতসকালে 'নটী বিনোদিনী' রূপে প্রথমবার ধরা দিলেন রুক্মিণী মৈত্র। ফার্স্টলুক দেখে শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গিয়েছে। তবে মনে ধরেনি টলিপাড়ার আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর। অতঃপর, কোনওরকম রাখঢাক না করেই দু-চার কথা বলে ফেললেন।
শ্রীলেখা বরাবরই স্পষ্টবক্তা। এবার 'নটী বিনোদিনী' রূপে রুক্মিণী মৈত্রকে দেখে সন্ধিগ্ধ তিনি। তাই নিজের সাধারণ জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রকাশ্যেই বলে ফেললেন- "রোগা ছিলেন নাকি বিনোদিনী? আমার সাধারণ জ্ঞান বাড়াতে এমনিই প্রশ্ন করলাম। এমনিতেই শত্তুরের অভাব নেই। কেউ ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না দয়া করে..।"
উল্লেখ্য, 'নটী বিনোদিনী' পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ও রয়েছেন অভিনেত্রীর সোশ্যাল বন্ধু তালিকায়। তবে শ্রীলেখার এমন পোস্ট দেখে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। তবে তাঁর পোস্টে পরিচালককে বিঁধে জনৈক লেখেন, 'একা রামে রক্ষে নেই, তায় আবার কমল!'
তবে শ্রীলেখা মিত্র রুক্মিণী মৈত্রর 'নটী বিনোদিনী' লুক নিয়ে যতই প্রশ্ন তুলুন না কেন, শিক্ষিকা সুদীপ্তা কিন্তু ছাত্রীর মার্কসিটে ভাল নম্বর বসিয়েছেন। এককথায়, নায়িকার পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন। ওয়ার্কশপের বিভিন্ন দিনের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে সুদীপ্তা লিখেছেন, "এই সিনেমার জন্য কোনওরকম কসরত করতে বাকি রাখোনি তুমি। তোমার এই জার্নি আরও সুন্দর করে তুলতে আমি শুধু আমার মতো করে সাহায্য করেছি। এবার তোমার পালা, পরিচালকের কথা মন দিয়ে শুনে ক্যামেরার সামনে ম্যাজিক তৈরি করার।" পাশাপাশি পরিচালক রামকমল ও দেবের প্রযোজনা সংস্থাকেও 'বিনোদিনী: এক নটীর উপাখ্যান'-এর জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
<আরও পড়ুন: ‘ছবির ১ লক্ষ ব্যবসা নেই, খোকা ভ্যানিশ! যত্ত আঁতলামো’, অনির্বাণকে ভয়ঙ্কর খোঁচা টলিউড প্রযোজকের>
প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও পিরিয়ডিক ছবিতে অভিনয় করছেন রুক্মিণী মৈত্র। অতঃপর ঐতিহাসিক চরিত্রের জুতো পা গলানো যে অভিনেত্রীর জন্য বেজায় চ্যালেঞ্জিং হবে, তা বলাই বাহুল্য।