/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/05/sree-2025-10-05-19-36-25.jpg)
কী বলছেন শ্রীলেখা?
কলকাতা সবথেকে সুরক্ষিত শহর। পরপর ৪ বার এই খেতাব পেল সিটি অফ জয়। কিন্তু এই শহর নানা সমস্যার সাক্ষী। নিজের সমাজ মাধ্যমে সেই প্রসঙ্গেই লিখেছেন শ্রীলেখা মিত্র। মেট্রো ষ্টেশনে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে এক মহিলা সাংবাদিককে। শ্রীলেখার দাবি এমনই এরপর-ও সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আর কী কী বললেন?
সেফেস্ট সিটি কলকাতা?
অভিনেত্রীর কথায়, কলকাতা আমার কাছে আগে একটা নস্টালজিয়া বা ভালবাসা ছিল, সেটা এখন আর নেই। কলকাতাকে সেফ সিটি বলছে, কী করে? কাজের জায়গায় দেখা যাচ্ছে একই জিনিস। মানুষ তেল মারলে কাজ হয়, সব জায়গায় তো খারাপ খারাপ। আমি কী করে ভাল থাকি আমি জানি। কেউ ফিল্মের না। সবাই খুব অন্যরকম মানুষ। নির্ভেজাল মানুষ। যেই রাজ্যে বিচার পাওয়া যায় না, যে রাজ্যে বাচ্চা খুন ধর্ষণ হয়, সেটা সেফেস্ট সিটি আর সেখানে আবার কার্নিভাল হচ্ছে মা দুর্গার। লজ্জা করে না যে রাজ্যে বাচ্চা, সারমেয়, বিড়াল সুরক্ষিত না, সেটা বিরাট সুরক্ষিত রাজ্য?
কার্নিভালে ডাক পান?
কার্নিভাল? কোনোদিন আমায় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ডাকে না। কীসের কার্নিভাল? আমায় উৎসবেও ডাকে না। শ্রীলেখা বলে যে কেউ ছিল এটার অস্তিত্ব নেই। আমার যে ছবিটা এবং ছাদ যেটা আমি ইউটিউবে দিয়েছি। আমি কিন্তু ওটা ঢাকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পাঠাই দারুণ আদর-সমাদর পায় সেই ছবিটি। সেটাকে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গ্রহণ করা হল না।
টলিউডকে ওপেন চ্যালেঞ্জঃ
আমার পরিচালিত শর্ট ফিল্মটা লাল দা ( সুমন মুখোপাধ্যায় ) দেখেছিলেন। কবি দা আমার প্রশংসা করেছিলেন। তাঁরা বললেন আমি নাকি ভাল পরিচালক। সেই ছবি KIFF-এ গেল না। আমায় যদি একটা সুযোগ দেওয়া হয় আমি কিন্তু দেখিয়ে দিতে পারব। বাংলা ছবি তো আবেগ নিয়ে। আমি একজন শিল্পী। আমার কাজ ভাল কিছু উপহার দিয়ে। আজকের দিনে কেউ সেলিব্রিটি নয়। ভাল অভিনেতা খুব কম। আমি একজন ভাল মানুষ। আমি দায়িত্ব নিয়ে নিজের ঢাক নিজে পেটালাম। আমার পরীক্ষা প্রার্থনীয়। কিন্তু যারা পরীক্ষা নেবেন তাঁদের নিয়ে সন্দেহ আছে।