একুশের বিধানসভা নির্বাচনের 'এপিসেন্টার' নিঃসন্দেহে নন্দীগ্রাম। সবুজ-গেরুয়া দুই প্রতিপক্ষ শিবিরের চোখ রাঙানিতে উত্তাল। 'এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়'। বিজেপি (BJP)-তৃণমূল (TMC) কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ! আবার ২০১১ সালে এই নন্দীগ্রামেই তৎকালীন বাম সরকারের কবর খুঁড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই নন্দীগ্রামের (Nandigram) মাটি নিয়েই এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে বাংলার মসনদ দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন পদ্ম-প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যে নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে ৩৪ বছরের বাম-শাসনের যবনিকা পতন ঘটেছিল, সেই এলাকাতেই এবার ফের একবার স্লোগান উঠল 'হাল ফেরাও, লাল ফেরাও'। ড্রামাটিক আবার রোমাঞ্চকরও বটে! নেপথ্য নেতৃত্বে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। যিনি কিনা নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার ভরসার প্রার্থী। বাম শিবিরের সেই তরুণ তুর্কীর হয়েই এবার নন্দীগ্রামের ময়দানে অবতরণ শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)।
শুধু অবশ্য শ্রীলেখাই নন, সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে নেমেছেন বাদশা মৈত্রও। দুই দিকে দুই প্রতিপক্ষ শিবিরের হেভিওয়েট প্রার্থী। ঘাসফুল শিবিরের হয়ে লড়ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ওদিকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। অতঃপর নন্দীগ্রামে কঠিন লড়াই মীনাক্ষীর। তবে সম্মুখ সমরে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত সংযুক্ত মোর্চার তরুণ তুর্কী। মেহনতী মানুষদের হয়ে সুর তুলেছেন তিনি। প্রচারেও কোনও চাকচিক্য নেই। একেবারে সাদামাটা। সেই মীনাক্ষীর হয়েই ভোটপ্রার্থনা করতে দেখা গেল টলিউডের দুই বামপন্থী মনোভাবাপন্ন তারকা শ্রীলেখা এবং বাদশাকে।
প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে আবার তৃণমূলী ঝড় রুখতে বিজেপির হয়ে প্রচারে নামছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ভোটের উত্তপ্ত আবহে ‘বাঙালিবাবু’ আবেগ যে পদ্ম শিবিরের অন্যতম মূল ‘ট্রাম্পকার্ড’ হতে চলেছে, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। তৃণমূলের তরফেও নন্দীগ্রামে ঘন ঘন প্রচারে যাচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরের ডাকসাইটে মুখরা। সেই প্রেক্ষিতেই আবার মীনাক্ষীতে ভরসা দেখতে পাচ্ছেন নন্দীগ্রামের একাংশ।