স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘বিটার হাফ’ দিয়ে সদ্য পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি হয়েছে শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra)। আর এর মাঝেই বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন টলিউড অভিনেত্রী। নতুন ছবির গল্পে হাত দিয়েছেন। আর সেই প্রেক্ষিতেই এবার পুরনো বিবাদ-তিক্ত স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর (Rituparna Sengupta) কথা মনে পড়েছে শ্রীলেখার। কারণ, ছবির গল্প ঘাঁটতে গিয়ে নাকি প্রথমটায় মূল চরিত্রে 'ঋতু' ছাড়া আর অন্য কারও কথা মাথায় আসেইনি তাঁর।
প্রসঙ্গত, গতবছর সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যখন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজম নিয়ে একপ্রকার কাদা ছোঁড়াছুড়ি চলছে, ঠিক তখনই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে জড়িয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতেও যে 'নেপোটিজম' শব্দটি বিদ্যমান, সে প্রসঙ্গ তিনিই প্রথম উত্থাপন করেন। যার জেরে কম জলঘোলা হয়নি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যদিও সেসময়ে সিঙ্গাপুরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন, তাছাড়া শ্রীলেখার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনওরকম মন্তব্যও করেননি তিনি। তবে এবার সদ্য পরিচালকের আসনে বসা শ্রীলেখার কিন্তু সেই ঋতুর কথাই মাথায় এসেছে। একাধিকবার, মনে হয়েছে এই চরিত্রটা যদি তাঁকে দিয়ে করানো যায়। কারণ, মূল চরিত্রের চেহারার গড়ন, বয়স, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ঋতুপর্ণার একটা অদ্ভূত মিল রয়েছে বলেই মনে করেন শ্রীলেখা।
যদিও এই মুহূর্তে ঋতুপর্ণার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে ভাল নেই, সেকথাও মেনে নিয়েছেন পরিচালক-অভিনেত্রী। কিন্তু, অভিনেত্রীকে গল্প শোনাতে প্রস্তুত তিনি। কারণ, পেশাদারিত্বের জায়গায় মন কষাকষির কোনও জায়গা না থাকাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যদি রাজি না হন? তাহলে, তাঁর জায়গায় দুই বলিউড সুন্দরীকে ভেবে রেখেছেন শ্রীলেখা। উর্মিলা মাতণ্ডকর (Urmila Matondkar) কিংবা দিয়া মির্জা (Dia Mirza)। বাকিটা তো সময়ই বলবে।