অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ ভারত তথা রাজ্যে আছড়ে পড়ার পরই অতি তৎপরতার সঙ্গে বাম শিবিরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, জনসাধারণের স্বার্থে কোনওরকম মিটিং, মিছিল কিংবা জমায়েত করা হবে না। কিন্তু এহেন ঘোষণার পরও কিনা রবিবার বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল খড়দহে। কমরেড দেবজ্যোতি দাসের সমর্থনে আয়োজন করা হয়েছিল বড়সড় প্রচার মিছিলের। আর সেখানেই অংশ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। অতঃপর সেই মিছিল চলাকালীনই লাইভ করে নেটজনতার কটাক্ষের মুখে পড়লেন বাম মনোভাবাপন্ন অভিনেত্রী। এক নেটিজেন সপাটেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, "২ দিন আগেই শুনেছিলাম, বামেরা নাকি সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বড় জমায়েত বন্ধ করছে! তারপর আবার এসব ধাপ্পাবাজি কেন?" পাল্টা দিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্রও (Sreelekha Mitra)।
ভোটের রঙ্গমঞ্চে করোনা (Covid-19) কোন ছাড়! মাস্ক পরার বালাই নেই। সুরক্ষাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রমরমিয়ে চলছে ভোটের প্রচার। ওদিকে মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আন্তর্জাতিক বেড়াজাল টপকে ভারতে তথা রাজ্যেও প্রবেশ করেছে। নিত্যদিন হু-হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্যবিদদের কপালে। কিন্তু তাতেও লোক-লস্কর নিয়ে নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) প্রচার আটকে নেই। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের এমন চরম পরিস্থিতির মাঝেই ভোট-রাজনীতি নিয়ে নেটদুনিয়ায় তীব্র শ্লেষ প্রকাশ করেছেন নেটজনতার একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই বিঁধেছিলেন শ্রীলেখাকেও।
প্রসঙ্গত, প্রচারগাড়িতে থাকা শ্রীলেখা মিত্র-সহ আরও কয়েকজনের মুখে মাস্কও ছিল না। তা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা। সেই প্রেক্ষিতেই শ্রীলেখার সাফ উত্তর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যখন মাস্ক খুলে কথা বলেন, "তাঁকেও কি এই একই প্রশ্ন করা হয়? অন্য নেতা-মন্ত্রীরাও তো প্রচারে গিয়ে সর্বক্ষণ মাস্ক খুলে কথা বলছেন। তখন কেন এসব প্রশ্ন ছোঁড়া হয় না?" তবে এর পাশাপাশি শ্রীলেখা এও জানিয়ে দিলেন যে, রবিবারের মিছিলে যাঁরা হেঁটেছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের মুখেই মাস্ক ছিল। কেউ কারও গা ঘেঁষেননি।
পাশাপাশি বিরোধী শিবিরপক্ষকেও বিঁধতে ছাড়েননি বাম শ্রীলেখা। তাঁর প্রশ্ন, অতিমারীর এই বাড়বাড়ন্তের মাঝে সাধারণ মানুষদের জন্য বাম শিবির যেটুকু দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে, তার সিকিভাগও কি তৃণমূল বা বিজেপির কেউ দেখিয়েছে?