/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/sree-4.jpg)
কী বলছেন শ্রীলেখা?
ঐন্দ্রিলা শর্মাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন টলিপাড়া তথা গোটা বাংলা। ভেন্টিলেশনে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অভিনেত্রী। মিরাকেলের আশায় প্রহর গুণছেন সকলে। এরই মাঝে শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) পোস্টে শোরগোল।
শ্রীলেখা বরাবরই সোজাসাপটা কথা বলতে ভালবাসেন। এবারে জীবন-মৃত্যু দর্শন নিয়ে পোস্ট করলেন অভিনেত্রী। সাফ জানালেন, মৃত্যুকে তিনি ভয় করেন না। আর মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত আবেগ কিংবা লোকদেখানো পোস্টও তাঁর পছন্দ নয়।
ঠিক কী বললেন শ্রীলেখা মিত্র? তাঁর কথায়, "অনেক তো বয়স হল জীবন কিছু কম দেখলাম না। মা-বাবা নেই। মেয়েটাও বড়। বেশি স্বাধীনচেতা প্রকৃতির। একদিকে ভাল, আমাদের মতো বুড়ো বয়স অবধি মা-বাবার ল্যাজ ধরা নয়। কিছু কাজ বাকি সেগুলো তাড়াতাড়ি করে যেতে চাই। বাকি আমি আমার জীবনটা বেঁচে নিয়েছি। কোনও দুঃখ, হতাশা, অভিযোগ নেই।"
এখানেই অবশ্য থামেননি অভিনেত্রী। শ্রীলেখা এও উল্লেখ করেন যে, "আর হ্যাঁ মৃত্যুকে ভয় করি না। বরং ওটা আরেকটা অ্যাডভেঞ্চার বলে মনে হয়। শুধু ম্যাক-এর লিপস্টিকগুলো কাউকে মনে ধরে দিতে পারব বলে মনে হয় না। আর আমার চারপেয়ে বাচ্চাগুলো মেয়ে দেখে নিতে পারবে। ওপরওয়ালার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে চাই। যাদের এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি, তাদের রেখো সুস্থ করে পরিবর্তে যদি ইচ্ছে হয়।"
<আরও পড়ুন: সাড় নেই, অতি সঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা! পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা>
এরপরই শ্রীলেখা বললেন, "আমি প্রস্তুত। আর হ্যাঁ দয়া করে আমার শোকে RIP লিখবেন না। আমি আনন্দে যাব। শান্তিতে বিশ্রাম নেব। অযথা মাথা ঘামাবেন না। তার চেয়ে অনলাইন ডেটিং আর শপিং করুন।" অভিনেত্রীর এমন পোস্ট দেখেই শোরগোল নেটদুনিয়ায়। অনুরাগীদের একাংশের কাতর আর্জি, দয়া করে এসব লিখবেন না। বা এসব কথা বলবেন না। আর তাঁদের এমন অনুরোধেই শ্রীলেখা মিত্র শেষমেশ পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/11/sree.jpg)
উল্লেখ্য, ঐন্দ্রিলা শর্মা যখন একদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে, তখন নেটদুনিয়ার একাংশ না জেনেই অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো খবর রটিয়ে দিয়েছিলেন। যা নিয়ে প্রচণ্ড চর্চাও হয়। শেষমেশ মুখ খুলতে বাধ্য হন ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরি, বন্ধু সৌরভ দাসরা। এতসব দেখেই হয়তো মৃত্যু নিয়ে শ্রীলেখা মিত্রর পোস্ট। তবে নেটদুনিয়ায় হইচই হওয়ার পর সেই পোস্টের অস্তিত্ব এখন আর নেই।