বিনোদিনীর চরিত্রে রুক্মিণী মৈত্র, নতুন লুক প্রকাশ্যে আসতেই চরম চর্চা এবং তরজা। কেউ বলছেন তাঁকে দারুণ মানিয়েছে আবার কেউ কেউ নাক সিঁটকেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। রুক্মিণীকে বিনোদিনী চরিত্রে দেখেই বলে বসেছিলেন, বিনোদিনী এত রোগা ছিলেন? তারপর?
Advertisment
তারপর, কেউ তাঁকে কুচুটে বলে সম্বোধন করেছেন আবার কেউ তাঁকে হিংসুটে বলতেও দ্বিধা বোধ করেন নি। তথাকথিত শ্রীলেখার ঠোঁটকাটা স্বভাব যে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে বিতর্ক ছড়াচ্ছে সেই নিয়েও আওয়াজ তুলেছিলেন অনেকেই। তবে এবার এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, রুক্মিণীকে নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। বরং! বিনোদিনীর চরিত্রে যাকে মানাচ্ছে না তাঁকে কেন সেই ক্ষেত্রে কাস্ট করা হবে? অভিনেত্রী বললেন...
"রুক্মিণী একটা বাচ্চা ফুটফুটে মেয়ে। ওকে নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। ওর প্রেমিক দেব অধিকারী পয়সা দিচ্ছে বলেই, তাঁকে খুশি করতে গিয়ে রুক্মিণীকে এই চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছে। এতে ওর কী করার? কিন্তু তাই বলে, যোগ্য অভিনেত্রী থাকতেও যাকে বিনোদিনী মানাচ্ছে না সেই মানুষকে প্রস্থেটিক মেকআপ করিয়ে বিনোদিনী বানাতে হবে?" প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা নিজেও কাদম্বরী ছবিতে বিনোদিনী দাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। খুব সামান্য পরিসরে হলেও, নজর কেড়েছিলেন তিনি। তবে শ্রীলেখার কথায়, তিনি না হোক! যোগ্য মানুষকেই এই চরিত্রের জন্য বাছাই করা উচিত ছিল। বললেন...
"আমায় নিতে হবে না। কিন্তু অনন্যা চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন, ওকে নেওয়া যেত। আমি তাহলেও একটুও সমালোচনা করতাম না। আর মনে করি, তাতে সত্যিই বাংলা সিনেমার পাশে দাড়ানো হত"। 'রোগা বিনোদিনী' নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত শ্রীলেখা! অন্তত এমনটাই দাবি করেছিলেন রুক্মিণীর ছবির আরেক প্রযোজক অরিত্র দাস। জানিয়েছিলেন, যেই বায়োপিকে যে অভিনেতা অথবা অভিনেত্রীই অভিনয় করুন না কেন, তাঁকে দেখতে একরকম হয় না। সে অজয় দেবগণ ভগৎ সিং এর চরিত্রে হোক অথবা কঙ্গনা লক্ষ্মীবাই হিসেবে।