বছর ৭ অতিক্রান্ত। একসময়ের লেডি সুপারস্টার শ্রীদেবীর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা সিং শ্রীদেবীকে একেবারেই পছন্দ করতেন না। শুধু তাই নয়, শ্রী বন্ধু হয়ে ঢুকেই মোনার সংসার তছনছ করে দিয়েছিলেন তিনি।
শ্রীদেবী বেঁচে থাকাকালীন প্রথম স্ত্রীর সন্তান অর্থাৎ অর্জুন কাপুর এবং অনশুলা কাপুরের সঙ্গে মোটেই সম্পর্ক ভাল ছিল না বনি এবং তাঁর পরিবারের। যদিও, পরবর্তীতে সেসব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু, একসময় ছোট্ট অর্জুন এবং অনশুলাকে নিয়ে পিকনিকে গিয়েছিলেন বলে শ্রীদেবী রীতিমতো অত্যাচার করেছিলেন বনিকে।
যে বনিকে একসময় রাখী পড়িয়ে ভাই বানিয়েছিলেন তিনি, তাঁকে শুধু বিয়ে করেননি, বরং বিয়ের আগেই অন্তঃসত্বা হয়ে যান তিনি। তারপরে আর বনির প্রথম স্ত্রী মোনার তরফে কোনও সুযোগ আসেনি। শ্রীদেবীকে তখন 'ঘর ভাঙানি' বলেই উল্লেখ করা হত। বনি-মোনার সংসার ভাঙার প্রসঙ্গে অর্জুন কাপুরের মা বলেছিলেন, "বনি আমার থেকে ১০ বছরের বড় ছিল। আমার যখন ১৯ বছর বয়স, বনির ২৯। আমি ওর সঙ্গে বড় হয়েছিলাম। আমার কাছে একটা বড় শক ছিল, যখন জানতে পেরেছিলাম আমার স্বামী অন্য একজনকে ভালবেসেছে। আমাদের সম্পর্কে আর সুযোগ দেওয়ার অবকাশ ছিল না, কারণ শ্রীদেবী অন্তঃসত্বা ছিল।"
তবে, স্টারডাস্টে প্রকাশিত হয়েছিল একটি ভয়ঙ্কর দৃশ্য। অর্জুন এবং আনশুলার সঙ্গে বনির হৃদয়ের যোগ ছিল সাংঘাতিক। ছেলেমেয়ের জন্য মন কাঁদত তাঁর। তাই তো তাঁদের নিয়ে পিকনিকে গিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরই শ্রীদেবী শুরু করেছিলেন অশান্তি। এক প্রতিবেশীর মন্তব্য অনুযায়ী, শ্রীদেবী নাকি বনিকে এমন কিছু কথা বলেন, যেগুলি শব্দে প্রকাশ করা যাবে না। অভিনেত্রী বলেছিলেন...
"এতই যদি নিজের সন্তানদের ভালবেসে থাকো, বউকে ভালবেসে থাকো, তাহলে ওই বাড়িতে গিয়ে থাকো। আমায় চিট করছ তুমি? বিশ্বাসঘাতক! মিথ্যেবাদী!" সেই প্রতিবেশী দাবি করেছিলেন, সেদিন অভিনেত্রীর বোঝা উচিত ছিল যে বনি তাঁদের বাবা। সন্তানদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখা যায়না। বেশ অনেক বছর অর্জুনের সঙ্গে বনির সম্পর্ক ছিল না। যদিও শ্রীদেবী মারা যাওয়ার পর পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।