সকাল হতেই সৃজিত মুখোপাধ্যায় বড় খবর দিয়েছেন। তিনি ফের একবার পরিচালকের ভূমিকায় নতুন কাজ শুরু করতে চলেছেন। নতুন ছবির ঘোষণা করেছেন তিনি। উইঙ্কেল টুইঙ্কেল ছবির শুটিং শুরু হতে চলেছে শীঘ্রই। যে পোস্টার শেয়ার করেছেন সৃজিত, তাতে কাস্তে হাতুড়ি তারা এবং লেনিনের মূর্তি ভেঙে পড়ছে।
এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে ব্রাত্য বসুর গল্প অবলম্বনে। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে দুজন মানুষ যে লেনিনের ভগ্নপ্রায় মূর্তির দিকে তাকিয়ে বসে আছেন। যারা একটু হলেও গল্প জানেন, তাঁরা জানবেন এটি আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক শিবিরের গল্প। সালটা, ১৯৭৬ - সব্যসাচী যিনি পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন, সে হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এবং বছর ২০ পর যখন ফিরে আসেন, তখন দেখেন তাঁর ছেলে রাজনীতির ক্ষেত্রে বিপরীত আদর্শে বিশ্বাসী। বিরোধী দলে নাম লিখিয়েছে সে।
টলিপাড়ার অন্দরে খবর, এই ছবিতে দুটি মুখ্য ভূমিকায় কাজ করতে চলেছেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং ঋত্বিক চক্রবর্তী। কিন্তু, গল্প এখানে নয়। সৃজিত মুখোপাধ্যায় অন্য ধরনের ছবি করেন, সেকথা অনেকেই জানেন। তবে, এবার তাঁর ছবিতে লেনিনের ভূমিকায় শ্রীজাত! সত্যিই? সমাজ মাধ্যমে এমন কিছুই চোখে পড়ল। শ্রীজাত যিনি তাঁর লেখনীর জন্যই সর্বত্র বেশি জনপ্রিয়, তাঁকে ফের একবার অভিনয় করতে দেখা যাবে?
শ্রীজাত নিজেই সৃজিতের কাছে এই প্রস্তাব রেখেছেন। হালকা টাকমাথার মানুষটি পর্দার লেনিন হতে চেয়েছেন। পরিচালকের কাছে আবদার করেছেন। আর সৃজিত যা পাল্টা দিয়েছেন... অভিনেতা এবং লেখক শ্রীজাত সোজা তাঁর কমেন্ট বক্সে গিয়ে বললেন, "লেনিনের মূর্তির চরিত্রে লাগলে বলো...।" আর এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়েই সৃজিত খোরাকের সুরে বলেন.."তোমার যা হাইট, লেনিনের ছোটবেলা হতে পারে।" কিন্তু কথপোকথন এখানেই থামল না।
বরং, দেখা গেল শ্রীজাত নাছোড়বান্দা এই চরিত্রের জন্য। তিনি সোজা বললেন, "ছোটদের লেনিন বইটা এখনও পাওয়া যায়, পড়ে নাও। আবক্ষ মূর্তি হলেও চলবে। হাফ পেমেন্ট করে দেব।" তাঁদের এই কথপোকথনে বেশ মজা নিয়েছেন। তাঁরা হাসছেন। কেউ কেউ তো রসিকতায় সামিল হয়েছেন। যদিও জমে ক্ষীর এই আলোচনা। এখন ছবিটা সৃজিত কীভাবে সম্পন্ন করেন সেটাই দেখার।