যাদবপুরের ফেস্ট নিয়ে 'শব্দ-বিস্ফোরণের' অভিযোগ শ্রীজাতর। ফেসবুকে খোলা চিঠি লিখে প্রতিবাদ করলেন কবি-পরিচালক। তাঁর মন্তব্য, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্ট স্রেফ অন্যায় ও অসভ্যতা..।" যার জেরে শ্রীজাতকে নিয়ে পাল্টা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ চলল নেটপাড়ায়।
যাদবপুরের ওপেন থিয়েটার জলসার আওয়াজে রীতিমতো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শ্রীজাতর ব্যক্তিগত জীবন। তাঁর লেখালেখির কাজ যেমন শিকেয় উঠেছে, তেমনই স্ত্রী দূর্বা কাজ থেকে ফিরে বিশ্রাম নেওয়া তো দূর, কান অবধি পাততে পারছেন না। এদিকে বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা। সবমিলিয়ে বেজায় বিরক্ত শ্রীজাত। সেই প্রেক্ষিতেই ফেসবুকে প্রতিবাদ করে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। তবে তার জেরে তাঁকে কটু কথা শুনতে হল।
ঠিক কী মন্তব্য শ্রীজাতর? ফেসবুকে কবি-পরিচালক লেখেন, "মাঝরাত পার হয়ে গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসবের শব্দে বাড়িতে কান পাতা যাচ্ছে না। টানা এক সপ্তাহ সকাল ১১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই অসহ শব্দতাণ্ডব চলছে। তাদের ওপেন এয়ার থিয়েটারে। বছরে বেশ কয়েকবার হয় এমন। শব্দের সীমাহীন প্রক্ষেপণে জানলা-দরজা কাঁপছে। কান-মাথা ব্যথা করছে। আমার লেখালেখি ৭দিন হল শিকেয়। দূর্বা কাজ থেকে ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার বদলে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের কাজকর্মের কথা ছেড়েই দিলাম। বাড়িতে বয়স্ক, অসুস্থ মা আছেন। নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছেন না। জানি না এর কোনও প্রতিকার আছে কিনা, তবু আমি, আমরা প্রতিবাদ জানালাম। ভবিষ্যতে অন্য কোনও পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব। উৎসব যদি অন্যের অশান্তির কারণ হয় এবং লাগাতার হয়েই চলে, তবে তা স্রেফ অসভ্যতা ও অন্যায়।"
<আরও পড়ুন: ‘মারাত্মক প্রতারণা’! জিমের নামে টাকা হাতিয়ে ‘উধাও’ শ্রাবন্তী? থানায় অভিযোগ দায়ের>
যদিও বর্তমানে সেই পোস্ট মুছে ফেলেছেন শ্রীজাত। তবে নেটপাড়ায় হইচইয়ের অন্ত নেই। অতঃপর তাঁকে কটাক্ষ করতেও পিছপা হলেন না। কারও মন্তব্য, 'তৃণমূলের অনুষ্ঠানে তারস্বরে মাইক বাজলে আপনার কান-মাথা ঝালাপালা হয় না?' কেউ বা আবার ব্যঙ্গ করে শ্রীজাতকে 'দিদিকে বলো' কিংবা 'এক ডাকে অভিষেকে' যোগাযোগ করতে বলেন। তবে বেশ কজন মানুষ কিন্তু শ্রীজাতর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর মন্তব্য সমর্থন করেছেন।