সোমবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বলেন- “আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লাভ অ্যাফায়ার বলবেন… না কি শরীরটা খারাপ ছিল, নাকি কেউ ধরে মেরেছে? পুলিশকে বলেছিলেন গোটা বিষয়টা জানাতে। শুনেছি, ছেলেটির নাকি মেয়েটির সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। ইজ ইট আ ফ্যাক্ট?…” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজমৈতিক মহল। নেটদুনিয়াতেও শোরগোলের অন্ত নেই। এবার সেই প্রসঙ্গে-ই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় মুখ খুললেন।
সৃজিতের (Srijit Mukherji) সপাট মন্তব্য, “হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে একেবারে আপত্তিকর, অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি বাকরুদ্ধ ও হতবাক।” স্বাভাবিকভাবেই সৃজিতের সুরে সুর মিলিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এরকম অসংবেদনশীল মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন?
অন্যদিকে টলিপাড়ার আরেক পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও (Kamaleswar Mukherjee) ফেসবুকে প্রতিবাদী পোস্ট লিখেছেন। বামপন্থী পরিচালকের প্রশ্ন- “আর কত কি মানবো? ১) আর্থিক বিপর্যয়- বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি, রাজ্যের ওপর ঋণের বোঝা, বেতন বা মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার অক্ষমতা, অপাত্রে অনুদান, বৃহৎ লগ্নির অভাব। ২) সামাজিক বিপর্যয়- খুন, ধর্ষণ, ধর্ম-জাত নিয়ে তোষণ ও বিদ্বেষের রাজনীতি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, মহিলাদের অনিরাপত্তা। ৩) নৈতিক বিপর্যয়- দুর্নীতি, কাটমানি, সিন্ডিকেট, ঘুষ, স্বজনপোষণ, আত্মপ্রচার, নির্লজ্জ মিথ্যাচার, জনমাধ্যমের ওপর চাপ বা বিশিষ্টজনের নীরবতা আর কতদিন মানবো?”
[আরও পড়ুন: ২ মাস আগেই একমাত্র ছেলের মৃত্যু! প্রয়াত ‘টু স্টেটস’ অভিনেতা শিবকুমার]
আরেকটি পোস্টে মমতার হাঁসখালি-মন্তব্যকে পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করেছেন কমলেশ্বর। সভ্য সমাজের একজন নাগরিক হিসেবে তাঁর প্রশ্ন, “হতেই পারে আপনি রাজ্যের শাসকদলের নেতা-নেত্রী বা কর্মী অথবা সমর্থক কিংবা শাসক আশ্রিত বিশিষ্টজন। তবু, ধর্ষিতা কোনও নাবালিকা বা সাবালিকা আপনারও মানবিকতার প্রার্থী। নীরব থেকে দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেবেন না।আপনি তো দুষ্কৃতী নন। ধর্ষকের দায় আপনি কেন নেবেন?”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন