ভিডিও গেম খেলতে পাগলের মতো ভালবাসে, প্রিয় গেম মাইনক্রাফ্ট। হতে চায় ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনিস্ট, সময় পেলে কুকিজও বানায়। এত কাজ একসঙ্গে, তবে মানুষটা কিন্তু ছোট্ট। সারা সেনগুপ্ত। ঊমা রিলিজ কিছুদিন পরেই। তার আগে লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে আড্ডা দিলেন সারা।
এত ইন্টারভিউ, প্রমোশন বোর লাগছে না?
আরে না, আই অ্যাম এনজয়িং ইট। শ্যুটিং থেকে ইন্টারভিউ সবটাই।
তাহলে আমরা নতুন অভিনেত্রী পেয়ে গেছি তো?
(ভীষণ গম্ভীর হয়ে) অভিনয় চালিয়ে যেতে আমার ভালোই লাগবে তবে প্রথম প্রায়োরিটি পড়াশোনা। পড়াশোনা শেষ করে আমি তো ওয়াইন্ড লাইফ কনজারভেসানিস্ট হতে চাই, ওটা আমায় হতেই হবে। আই লাভ অ্যানিম্যাল।
তাহলে লিস্টটা অনেক লম্বা বলছ...
(আঙুলের কড় গুনতে গুনতে) অভিনয় আছে, কনজারভেশনিস্ট তো হবই, ভিডিও গেমও আমি ভীষণ ভালবাসি। হ্যাঁ কোন কোন সময় বেকও করি। কুকিজ বানাই। কিন্তু জারা কিচেনে থাকলে হয়ে গেল। ও কোনও কথা শোনে না। একবার ভাবলাম ঠিক আছে একটু করুক, তারপর দেখলাম পুরো পুড়িয়ে ফেলেছে। বেচারা দাদুকে হাসি হাসি মুখ করে খেতে হয়েছে সবটা।
এক্সপ্রস ফোটো - শশী ঘোষ
আর উমা?
সৃজিত (সারা সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে নাম করে ডাকে) আর বাবার সঙ্গে কাজ করতে পারলাম, প্রথমবার ক্যামেরার সামনে এলাম অনেক বন্ধুও হল। আর উমা আমার জন্য ভাল অভিজ্ঞতা হবে এটা ভেবেই ছবিটা করতে রাজি হয়েছি।
অভিজ্ঞতা... (প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই)
জানো একটা শট ছিল যেখানে আমি দৌড়ে আসছি, প্রথম টেকটাই ওকে ছিল। সৃজিত বলল আর একটা শট নিয়ে রাখবে সেফটির জন্য। তো আবার আমি দৌড়ে আসছি, হঠাৎ দেখা গেল ক্যামেরা ঠিক জায়গায় আছে কিন্তু আমি নেই। ক্যামেরা প্যান করছে কিন্তু আমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে আমি পড়ে গিয়েছিলাম। সবাই হাসছিল, বাবাও। তবু বাবা বুঝেছিল কিছু একটা হয়েছে। তারপর আমায় তুলতে গিয়ে দেখল হাতে কাঁটা ভর্তি। প্রথম শটটা নেওয়ার সময়েই পায়ে জিন্স ছিঁড়ে কাঁটা ফুটে গিয়েছিল। পরের শটের সময়ে তাই আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনি।
এক্সপ্রস ফোটো - শশী ঘোষ
আরও পড়ুন, সিনেমা এবং: শাশ্বত চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ
অভিনয়ে কে বেশি ভাল, যিশু না সারা?
বাবার অভিনয় নিয়ে আমি কী বলব? আর আমার তো এটা সবে ডেবিউ। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমি যদি কোনও একটা সিন ভালো করতাম, তাহলে সৃজিত আমার দিকে একটা লুক দিত।