দেশনায়কের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যে ছবি উন্মোচন করেছেন রামনাথ কোবিন্দ, তার সঙ্গে নাকি হুবহু 'গুমনামি'র সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন নেটজনতার একাংশ। অভিযোগ, ওই ছবিতে নেতাজির মুখের সঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee) পরিচালিত 'গুমনামি' সিনেমায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) মুখের বেশ মিল রয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে ইতিমধ্যেই বেজায় শোরগোল শুরু হয়েছে। অতঃপর, নেতাজি জন্মজয়ন্তী 'বিতর্ক' যে এবার বাংলা পেরিয়ে দেশের প্রশাসন-সংবিধানের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, তা বলাই বাহুল্য!
সত্যিই কি রাষ্ট্রপতি ভবনে উন্মোচিত সেই ছবিতে প্রসেনজিৎ অভিনীত 'নেতাজি' চরিত্রের মিল রয়েছে? বিজেপি অবশ্য বিরোধী দলপক্ষের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রের শাসক দলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, "এই ছবি পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রকর পরেশ মাইতির হাতে আঁকা। মোটেই এই ছবির সঙ্গে প্রসেনজিৎ অভিনীত চরিত্রের কোনও মিল নেই। অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে", মত সরকার পক্ষের। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ মহূয়া মৈত্র এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেও পরে সেই টুইট ডিলিট করে দিতে বাধ্য হন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন নেতাজির পরিবারের সদস্য চন্দ্র কুমার বোসও, যিনি কিনা ভারতীয় জনতা দলের একজন সক্রিয় সদস্য। আর যে সিনেমার নাম জড়িয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠল, এবার সেই প্রেক্ষিতেই ময়দানে নামেন 'গুমনামি' পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
নেতাজির একটি ছবি পোস্ট করে সৃজিতের মন্তব্য, "রাষ্ট্রপতি ভবনের ছবিটি পরেশ মাইতির আঁকা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যদি এই ছবিটির কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর পুরো কৃতিত্বটাই সোমনাথ কুণ্ডুর প্রাপ্য। যিনি কিনা 'গুমনামি'তে (Gumnami) অভিনেতার মেক-আপের দায়িত্বে ছিলেন।" উল্লেখ্য, মেক-আপ আর্টিস্ট হিসেবে ইতিমধ্যেই সোমনাথ জাতীয় স্তরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। 'জাতিস্মর' ছবিতে কাজের জন্য জাতীয় পুরস্কারও গিয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
অন্যদিকে প্রসেনজিতের কথায়, চিত্রকর পরেশ মাইতিকে অসংখ্য শুভেচ্ছা দেশনায়ক সুভাষ চন্দ্র বোসের এমন একটা প্রতিকৃতি অঙ্কনের জন্য। অভিনেতা হিসেবে আমি গর্বিত বোধ করছি যে, মানুষ ওই ছবির সঙ্গে 'গুমনামি'তে আমার চরিত্রের মিল খুঁজে পেয়েছেন।"