সারা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঢল। মেয়েদের সুরক্ষা এবং মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। পিছিয়ে এর বিষয়ে চাহিদা সম্পন্ন মহিলারা এবং শিশুরা।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের প্রথম দিন থেকে আওয়াজ তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট এর পাশাপাশি তিনি রাস্তায় নেমেছে আন্দোলনে। চুপ থাকার পাত্র তিনি নন। এমনি ও সমাজ মাধ্যমে তিনি খুব সক্রিয়। অনুরাগীদের, মন্তব্য যেমন খুব সহজভাবে নেন, কেমন তাদের সমালোচনাতেও তিনি কিছু একটা খুঁজে নেন।
আর এবার, আর জি করের এই ঘৃণ্য ঘটনার পরে, সকলেই এখন শুধু বিচারের অপেক্ষায়। এবছর বাঙালি সেপ্টেম্বর মাসে, দুর্গাপূজার অপেক্ষায় নয় বরং আর পাঁচ জন সাধারণ দুর্গার বিচারের অপেক্ষারত। সৃজিত মুখার্জি নিজেও হাল হাল ছাড়েনি। তাইতো আজ যখন আবার রাজপথে, ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান এবং অন্যান্য প্রধানরা বিচারের সমর্থনে নামলেন, সেই ছবি নিজের সমাজের মাধ্যমে পোস্ট করলেন।
কী লিখছেন পরিচালক?
না, এবার বিচার না নিয়ে নয়। এবার দিনের পর দিন পার হলেও, সত্যের বিচার হতেই হবে। মানুষ কিছুতেই হাল ছাড়বেনা। দরকার পড়লে পুজোর সময়ও রাস্তায় থাকবেন মানুষ, কিন্তু ঘুরতে নয় আন্দোলনে এ কথাই জানিয়েছেন তারা। এক সমর্থকের কাঁধে আরেক সমর্থক। সঙ্গে রয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। সেই ছবি পোস্ট করে সৃজিত যে লিখছেন...
"হাসপাতাল এবং মৃতের বাবা-মায়ের মধ্যে ফোন কলের রেকর্ডিং শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়, শিহরণ বয়ে যায়। মৃতের পিতামাতার দ্বারা প্রত্যাখ্যান করার দাবি সহ অপরাধের দৃশ্যের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে জ্বালা ধরে৷ তদন্ত প্রতিবেদন এবং পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের মধ্যে পার্থক্য বর্ণনাকারী প্রাক্তন পুলিশদের সাক্ষ্য, দাবিহীন মৃতদেহ ভয়ঙ্কর সব বর্ণনা দিচ্ছে। ১৫ দিন পরও সিবিআইয়ের নীরবতা। না, আমি মনে করি না যে আমার শহর ন্যায়বিচার না করে এটিকে ছেড়ে দেবে।"
সৃজিতের পাশাপাশি সরব হয়েছেন অনেকেই। পরিচালকদের মিছিলে দেখা গিয়েছে অনেককেই। তারকারা রাস্তায় নামার সঙ্গে সঙ্গে সমাজ মাধ্যমেও সরব। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় রয়েছেন সেই তালিকায়। অনীক দত্ত রয়েছেন নিজের কথা বলতে।