সৃজিত মুখোপাধ্যায় নিজের পরিচালনার মাধ্যমে জাতীয় স্তরে পৌঁছে গিয়েছেন। শেরদিল থেকে সাবাশ মিঠু ছবির পরিচালক তিনি। কিছুদিন আগেই পরিচালক মৃণাল সেনের বায়োপিক বানিয়ে নজরে এসেছিলেন। পদাতিক বেশ প্রশংসা পেয়েছে।
কিন্তু, মৃণাল সেন বেঁচে থাকলে তাঁকে কী কী বলতেন বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির এবং ছবি দেখে? মৃণাল সেন যে ধরনের ছবির পরিচালক ছিলেন, সেগুলি বেশ অন্যরকম। তাঁর স্ত্রীর অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজেকে ভারতীয় ছবির কাজে নিয়োজিত করেছিলেন। মৃণাল সেনকে নিয়ে ছবি বানানো নেহাতই সহজ ঘটনা না। কিন্তু, সৃজিত সেই সাহস দেখিয়েছেন। সেন বেঁচে থাকলে আদৌ এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তাঁর কী মতামত হত?
পরিচালক নিজেই শেয়ার করলেন সেই কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, সেই প্রসঙ্গেই জানিয়েছিলেন। পরিচালকের কথায়, "আমার মনে হয়, উনি দুটো কথা বলতেন। এক তো এটা বলতেন, বেশি চাকচিক্যের মধ্যে না জড়িয়ে আমরা যদি, গল্পের দিকে, নজর দি, তাহলে বোধহয় ভাল হবে।" একথা অস্বীকার করা সম্ভব নয়, যে বর্তমানে সিনেমার কনটেন্টের থেকেও বেশি তারকা, প্রমোশন এসবের ওপর নজর দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, সৃজিত আরও বলেন, "আর হয়তো এটা বলতেন সমস্ত ঝামেলা হাটাও, বরং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম মেকারদের খুব প্রয়োজনীয়তা আছে এখানে। ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পর, তারপর যা হবে দেখা যাবে। কারণ, তিনি নিজে একজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পোস্টার বয় ছিলেন। তাই সেই বিষয়টা হয়তো বা তাঁরা বুঝতে পারেন। কোনও অনুমতির দরকার নেই। স্ট্রিট শট নাও। আমার মনে হয় উনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম মেকরদের বেশি সেলিব্রেট করতেন।"
প্রসঙ্গে, দীর্ঘ অনেকদিন ধরেই তিনি পদাতিক নিয়ে কাজ করছিলেন। এই ছবিতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল চঞ্চল চৌধুরীকে। গীতা সেনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল মনামী ঘোষকে। সৃজিত এই ছবির জন্য দারুন প্রশংসা পেয়েছিলেন।