৪ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন' (Kakababur Protyaborton) ঘটছে। ওদিকে মায়ানগরীতে হিন্দি ছবির ডাবিংয়ে ব্যস্ত হলেও বাঙালি গোয়েন্দা হিরোদের নিয়ে মগজাস্ত্রে শান দিচ্ছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। কীরকম? ফোনে সেই গল্পই বললেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে। শুনলেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ
করোনাকে জয় করে কেমন আছেন এখন?
ভাল আছি। এই তো বম্বেতে 'সাবাস মিঠু' আর 'শেরদিল'-এর পোস্ট প্রোডাকশন চলছে।
অতিমারী আবহে সিনেমার রিলিজ বন্ধ কিন্তু সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেমে নেই। কলকাতা-মুম্বই চুটিয়ে কাজ করছেন..
কোথায়..? এই তো দু'বছর সব বন্ধ ছিল। গতবছর তো আমার কোনও সিনেমাই মুক্তি পেল না। শুধু ওটিটিতে 'রেক্কা' আর 'রে' রিলিজ করেছে। তার আগে ২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'ফেলুদা' আর 'দ্বিতীয় পুরুষ'। কুড়ি আর একুশ মিলিয়ে আমার মোটে একটা ছবি রিলিজ করেছে। সেটা সাধারণত হয় না! যেগুলোর মুক্তি আটকে ছিল এতদিন, এবার এক-এক করে সেগুলো মুক্তি পাবে।
কিন্তু শুটিং তো জারি..
করে যেতে হবে। কারণ, আবার নতুন ভেরিয়েন্ট আসছে শুনলাম। এবার কখন কী ভ্যারিয়েন্ট এসে কাজ বন্ধ করে দেয়, জীবন থামিয়ে দেয়, অন্তত শুটিংগুলো করা থাকলে বাড়িতে বসে পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ এগোন যায়। সেই কারণেই এই সুযোগে ঝটপট শুটিংগুলো করে নেওয়া।
জাতীয় স্তরে 'রে' বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে..
হ্যাঁ। বলতে পারো, বম্বেতে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের যে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হল, তার পুরো কৃতিত্বটাই 'রে' সিরিজটার। এবং 'রে' মুক্তির পর থেকে এখনও হিন্দি ছবি-সিরিজের অফার পেয়ে চলেছি। যারমধ্যে ৩-৪টে ভাল ভাল প্রজেক্টের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
কাকাবাবুর ট্রেলার দেখে অমিতাভ বচ্চন থেকে সুনীল শেট্টির মতো অনেকেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সিনেমার প্রচারের ক্ষেত্রে কতটা ভ্যালু অ্যাডিশন হল?
ডেফিনিটলি হল! অমিতাভ বচ্চনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০ মিলিয়ন ফলোয়ার, সুনীল শেট্টির ১.২ মিলিয়ন সম্ভবত, মনোজ বাজপেয়ীও পোস্ট করেছিলেন, ওঁরও ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়! সেই প্রেক্ষিতে ওঁদের এই পোস্ট তো মানুষের কাছে 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তনে'র খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিঃসন্দেহে দারুণ। এই সিনেমাটা যে ৪ ফেব্রুয়ারি রিলিজ করছে, দিনের শেষে সেই খবর তাঁরা পৌঁছে দিলেন তাঁদের অগণিত ভক্তের কাছে।
আসলে সিনেমাহলে এখন কজন মানুষ যাবেন, সেটা নিয়েও চিন্তিত আমরা। কারণ, অতিমারীর জন্য প্রেক্ষাগৃহে বিধিনিষেধ এখনও জারি। পাশাপাশি সিটে বসতে পারছেন না দর্শকরা। তাই বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে সিনেমাহলে যেতে খুব একটা স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করছেন না। অবশ্যই এখানে ওটিটি কিংবা স্যাটেলাইটেরও একটা বিষয় আছে। যেটা মূল আয় হিসেবে আসবে। এই পরিস্থিতিতে থিয়েটার থেকে যতটা পাওয়া যায় সেটাই উপরি পাওনা। এসবের মাঝেই মানুষের কাছে যতটা পৌঁছানো যায়। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে অমিতাভ, সুনিল শেট্টি কিংবা মনোজ বাজপেয়ীদের ট্যুইট প্রচারে প্লাস পয়েন্ট।
প্রথম বা দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি বক্স অফিসে যতটা আয় করেছিল, তৃতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষেত্রে কতটা আশাবাদী আপনি?
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজির আয়ের কাছাকাছিও যাবে না 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'। এই ছবি বাচ্চাদের জন্য। সব থেকে বড় কথা, বাচ্চাদের ভ্যাক্সিনেশন এখনও পুরোপুরি হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে বাবা-মায়েদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টাও বুঝি। তাই ওরাই যদি হলমুখো না হয়, সেক্ষেত্রে ওটিটি, স্যাটেলাইট, সিনেমাহল সবমিলিয়ে তুলনামূলকভাবে হয়তো বেশি আয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু যদি শুধু সিনেমাহলের কথা ধরি, তাহলে আগের দুটো ছবির আয়ের কাছাকাছিও যাবে না, মনে হয়।
'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'-এর মতো বড় লার্জার দ্যন লাইফ গোছের একটা সিনেমা যদি অন্য কোনওসময়ে রিলিজ করত, তাহলে কি বক্স অফিসের মার্কশিটে আয়ের নম্বর বাড়ত বলে মনে হয়?
হ্যাঁ, কিন্তু ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম কিংবা স্যাটেলাইটেরও তো একটা সময়সীমা থাকে, সেখান থেকে বাজেটের প্রায় পুরোটাই উঠে আসছে। সেটা তো আমরা অগ্রাহ্য করতে পারি না। দু'-দু'বার রিলিজ পিছিয়েছি, তারাই বা আর কত অপেক্ষা করবে! বাজেটের একটা অংশ যেহেতু ওটিটি, স্যাটেলাইট থেকে উঠে আসছে, সেই সময়সীমার কথা মাথায় রাখা বেশি জরুরী। আমার বক্তব্য, যেভাবেই হোক লাভের মুখ দেখলেই হল। করোনা তো আমাদের ওটিটি ঘেঁষা করে দিয়েছে।
কাকাবাবু হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পাচ্ছে, কিন্তু কখনও এই ছবির বলিউড রিমেক করলে, মূল চরিত্রে কাকে ভাববেন?
আমার মতে, 'কাকাবাবু', 'ফেলুদা' এগুলো হিন্দিতে হয় না। আমি অন্তত ভাবিনি।
২ বছর ধরে 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'-এর মতো আরও অনেক বাংলা ছবিই রিলিজের অপেক্ষায়। বলিউড ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজের পথে হাঁটলেও টলিউড সে পথে হাঁটেনি। ডিজিট্যাল রিলিজের ক্ষেত্রে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি কি সেক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে?
পিছিয়ে তো আছেই। প্রথমত, যেসমস্ত প্ল্যাটফর্মে হিন্দি ছবি রিলিজ করে, সেগুলো আন্তর্জাতিক স্তরের। তাদের আর্থিক স্বচ্ছল্যতা আছে, তাঁরা হয়তো মোটা অঙ্কের একটা প্রস্তাব দিতে পারে, যেটায় সায় দিতে পারেন হিন্দি সিনেমার প্রযোজকরা। আমাদের এখানে হইচই-ছাড়া আর যে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলো আছে, সেগুলোর কোনওটার সেরকম আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই যে। যে পরিমাণ টাকার হিসেবে স্বত্ব আদান-প্রদান হয়, আমার মনে হয় না বাংলায় কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সেই স্বচ্ছলতা আছে। তাই বাংলায় সেরকম ওটিটি-ফিল্ম প্রবণতা নেই।
কী মনে হয় ওটিটি কি ভবিষ্যৎ?
এটা বলা মুশকিল! কোন বাদুর, কোন ভাইরাস আবার কীভাবে নৈরাজ্য বিস্তার করবে! আমি সবসময়ে চরম পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই চলি। আর সেভাবে নিজেকে প্রস্তুতও রাখি।
প্রসেনজিৎ-সৃজিত জুটি একের পর এক হিট দিয়েছে, এই রসায়নের স্পেশ্যালিটিটা কী?
বুম্বাদার সবথেকে বড় গুণ হল টলিউডের এতবড় সুপারস্টার অভিনেতা হয়েও উনি আজও নিজেকে পরিচালকের কাছে পুরোপুরি সমপর্ণ করে দেন। সেটার জন্যই পরিচালক-অভিনেতা জুটি হিসেবে আমাদের রসায়নটা জমে যায়। আমি যখনই কোনও অভিনেতার সঙ্গে কাজ করি, তাঁর মধ্যে এই বিষয়টা থাকা খুব জরুরী। বোঝাপড়ার জায়গাটা ইমপরট্যান্ট। আমার আর বুম্বাদার ক্ষেত্রে সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও পোক্ত হয়েছে।
মানে ডিরেক্টর্স অ্যাক্টর হতে হবে, তাই তো?
সেটা নয়। কিন্তু পরিচালক হিসেবে যা ভাবছি, সেই ভাবনার কাছাকাছি পৌঁছতে হবে।
'কাকাবাবু'র ট্রেলার দেখে অনেকেই সিনেম্যাটোগ্রাফির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, এপ্রসঙ্গে কী বলবেন?
আমরা সবাই 'আফ্রিকান সাফারি', 'ইন্ডিয়ানা জোনস', 'কিং সোলোমনস মাইনস'… দেখে বড় হয়েছি। 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'-এও সেই স্কেলটা ধরার চেষ্টা করেছি আমি আর শমীক (হালদার)। এবং শমীক আগের দুটো 'কাকাবাবু' থেকে 'আমাজন অভিযান', 'চাঁদের পাহাড়' প্রত্যেকটা শুট করেছে। তো ওর কাছে এধরণের স্কেলে ধরাটা অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। শমীক খুবই পটু এই বিষয়ে।
আফ্রিকার জঙ্গলে শুটিংয়ের সময় শুনেছি নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটেছে?
প্রচুর। 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'কে নিঃসন্দেহে বাংলার সবচেয়ে জন্তু-প্রধান ছবি বলা যায়। এত লাইভ জন্তু নিয়ে আগে কোনও কাজ হয়নি। আগে প্রচুর ভিএফএক্স কিংবা কম্পিউটার জেনারেটেড বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ হয়েছে। কিন্তু এই সিনেমায় দর্শকরা যেসব জন্তুদের দেখতে পাবেন, তার সবটাই আসল। কিছু জন্তুর প্রফেশনাল হ্যান্ডেলার থাকায় সুবিধে হয়েছে। কিন্তু গণ্ডার-হায়নার কোনও হ্যান্ডলার ছিল না। ওরা বলেই দিয়েছিল যে, আপনারা শুট করুন, বিপদ হলে কিন্তু আপনাদের দায়! সেই অবস্থায় আমরা শুট সেরেছি। একটা দৃশ্য আছে, যেখানে কাকাবাবু গণ্ডার-হাতির মাঝে আটকে পড়ে, সেই সিন শুট করতে গিয়ে হাতির মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এবং ওই হাতি বুম্বাদা ও সন্তু, মানে আরিয়ানের কাছাকাছি চলে আসে। এটা বিপজ্জনক ছিল। এছাড়া সিংহের সঙ্গে শুটটাও রোমাঞ্চকর ছিল।
একটা দৃশ্য এরকম ছিল যেখানে বুম্বাদাকে আরিয়ানের পা থেকে হাত দিয়ে টেনে সাপ সরাতে হবে, আর উনি সাপ পছন্দ করেন না। সেদিনের শুটের অভিজ্ঞতাও থ্রিলিং ছিল।
আপনি 'ফেলুদা', 'কাকাবাবু' নিয়ে কাজ করেছেন। শোনা যাচ্ছে ব্যোমকেশ নিয়েও কাজ করবেন। বাঙালির এই ৩ গোয়েন্দা হিরোকে হলিউডের মতো মাল্টি-ইউনিভার্সে দেখানোর কথা কখনও ভেবেছেন?
অতি অবশ্যই ভেবেছি। এই নিয়ে অনেক আগে থেকেই চিন্তা-ভাবনা ছিল। দেখা যাক কী হয়! তবে ফেলুদা-কাকাবাবু-ব্যোমকেশদের একই ছবিতে দেখাতে হলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। এনওসি চলে আসতে পারে আবার! কিন্তু ভাবতে তো ক্ষতি নেই। ফেলুদা-ব্যোমকেশ-কাকাবাবু… এই তিন গোয়েন্দার ভক্ত হয়ে ভাবাই যায়।
এক্ষেত্রে চিত্রনাট্যের খাতিরে হয়তো প্রতিটা গোয়েন্দা উপন্যাসকে ভেঙে সাজাতে হবে..
হ্যাঁ, মাল্টি ইউনিভার্সে ফেলুদা-ব্যোমকেশ-কাকাবাবুর মতো তিন গোয়েন্দাকে দেখানো দারুণ একটা চ্যালেঞ্জ হবে বটে! আর সেটা তো আমি নিতেই চাই। একটা প্লটও রেডি। সেখানে ব্যোমকেশকে একটু বৃদ্ধ ভেবেছি এবং ফেলুদা-কাকাবাবুকে খানিক তরুণ আর মাঝবয়সী হতে হবে। যেখানে তিনজনের টাইম পিরিয়ডটা ওভারল্যাপ করছে। সময়ের প্রেক্ষাপটটা আসলে মেলানোই চ্যালেঞ্জিং! ব্যোমকেশ ১৯৩০-৬০ সাল অবধি, কাকাবাবু-ফেলুদা আরেকটু সমসাময়িক। তবে বাংলা সাহিত্যে তিন গোয়েন্দার যে ওভারল্যাপিং টাইম পিরিয়ড রয়েছে, সেটা ঐতিহাসিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সৃজিত মুখার্জি গত ১ দশকে বাঙালি দর্শককে হলমুখো করতে পেরেছেন- অনুরাগীদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কী বলবেন?
এটা আমার শত্রুরাও বলেন অবশ্য! (হেসে) আমি নিজের মতো গল্প বলেছি, সেটা দর্শকদের ভাল লেগেছে বলেই ওঁরা হলে দেখতে এসেছেন। কিন্তু এটার কৃতিত্ব পুরোপুরি আমি নিতে পারি না। তবে হ্যাঁ, আপ্লুত হতে পারি। নিঃসন্দেহে হ্যাপি কো-ইনসিডেন্ট!
আপনার অনুরাগীরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে থাকেন, "সৃজিত মুখার্জি সমালোচনা নিতে পারেন না!", সেক্ষেত্রে আপনার কী মত?
খুব ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন! ব্যাপারটা আসলে সমালোচনার সংজ্ঞার ওপর নির্ভর করছে। আমার মনে হয়, সমালোচনারও একটা ধরণ থাকা দরকার। সেই গণ্ডীটা যখন মানুষ মেপে চলেন না, অশ্রদ্ধা বা অবজ্ঞার জায়গায় চলে যায়, সেটা প্রত্যাখ্যান করার অধিকারও আমার আছে। ধরো, আমার সোশ্যাল মিডিয়া আমার বসার ঘর, সেখানে আজ অবধি কি কেউ আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেননি? নিশ্চয় করেছেন। কিন্তু এটা মাথায় রেখে করেছেন যে, আমি সৃজিত মুখার্জির-ই বসার ঘরে বসে আছি। এবার প্রোফাইলে যদি কেউ অসভ্যতা করেন, কিংবা সীমা ছাড়িয়ে সমালোচনা করেন, তাহলে আমি একেবারেই সেটা সহ্য করব না। বা করা আমার ধাতেও নেই। আমি কাউকে বারণও করিনা। নিজের পরিসরে কেউ যে কোনও মন্তব্য করতে পারে। কিন্তু আমার জায়গায় এসে অসভ্যতা করলে কিংবা নেটমাধ্যমের নীতি মেনে কথা না বললে, আমি একশোবার তার প্রতিবাদ করব। যেভাবে বাগান পরিস্কার রাখার জন্য আগাছা তুলে ফেলে দিই, সেভাবেই আর কী!
বাংলায় নবাগত পরিচালকরা অনেক ফ্রেশ কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। আপনার কাছে নতুন কেউ ভাল গল্প কিংবা চিত্রনাট্য নিয়ে এলে তাঁদের সঙ্গে কাজ করবেন?
অতি অবশ্যই। সায়ন্তন ঘোষাল এত ভাল কাজ করছেন। 'আলিনগরের গোলকধাঁধা' দেখেই ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছিলাম, চিত্রনাট্য থাকলে আমাকে দিতে। অভিরূপ ঘোষ প্রচণ্ড গুণী পরিচালক। অর্জুন দত্ত অসম্ভব সেন্সসিভ মেকার। এই নবাগত তরুণদের থেকে প্রতিমুহূর্তে অনুপ্রাণিত হই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন