SSC verdict-Aritra dutta banik: অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই, বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ স্কুল সার্ভিস কমিশনের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম আদালত। জানানো হয়েছে যেই নিয়োগে প্রচন্ড পরিমাণে, দুর্নীতি হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে শুরু করতে হবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১৬ সালে যারা এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন, সে তারাই আবার এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। নতুন কোন চাকরিপ্রার্থী এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন না।
এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা ওই এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন তারা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন না। রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপে নির্দেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় যা চাকরি পেয়েছিলেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা আবেদন করতে পারবেন। তারাই ও জানিয়েছেন, দুর্নীতির মাত্রা এত বেশি যোগ্য এবং অযোগ্যদের মধ্যে ফারাক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যোগ্য যারা, চাকরি গেলেও তাদের বয়স বাড়িয়ে ফের একবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পরেই মিলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যেমন?
অভিনেতা এবং স্পষ্ট বক্তা অরিত্র দত্ত বনিক, যিনি সমাজ মাধ্যমে দারুন সক্রিয়, এবং কোনো রকম মন্তব্য রাখতে পিছপা হন না, তিনি সরব হয়েছেন সমাজ মাধ্যমে। কাদের দোষে কারা ভুগলো, সেই নিয়েই অরিত্রকে মন্তব্য করতে শোনা গেল। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখছেন..."আমাদের আইন ব্যবস্থার ত্রুটি হলো, যে কয়জন ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকলেন তাদের চাকরি গেলো, যে কয়জন নিজের যোগ্যতায় চাকরিতে ছিলেন তাদের বাছাই করতে না পারার কারণে তাদের চাকরিও গেলো। কিন্তু যে বদমাশ রাজনীতিবিদ আর আমলারা আসলে ঘুষ খেয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেন, তাদের কারোর চাকরি গেলোনা।"
রাজনীতিবিদদের নিয়ে তিনি আরো নানা কিছু লিখলেন। অভিনেতা, আদালত এবং আইন বিচার নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ। সমস্ত কিছুর উর্ধেকিয়ে তারা অন্যায় করছেন এবং তারা সাজা পাচ্ছেন না কেন এই নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। যারা ঘুষ খেলেন যারা চাকরি দিলেন তাদের কোন শাস্তি হলো না কেন সেই প্রসঙ্গে অরিত্র আরো বলছেন.. "তারা যে যার চেয়ারে বহাল রইলেন। আদালতের উচিৎ এই বিভাগের রেস্পন্সিবল লোকদের আগে সাসপেন্ড করা ও কঠোর সাজা দেওয়া যাতে আগামীতে বিভাগীয় আমলা ও নেতারা অন্তত ঘাপলা করার আগে সামান্যতম ভয় পান। নাহলে এই কাজ তারা আবার করবেন, বারবার করবেন। মনে রাখবেন ঘুষ দেওয়া এবং ঘুষ নেওয়া দুটোই সমানভাবে অন্যায়।"
অন্য একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি লিখছেন.. "যে কোনো সভ্য সমাজের মূল ভিত্তি শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর আমাদের রাজ্যের রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্ব নিয়ে সেই শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই চিতায় তুলে দিলো। এইসব নেতা-নেত্রীদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। এরা সমাজের জন্যে খুবই ক্ষতিকর একদল ক্রিমিনাল।"