SSC Recruitment Verdict Case-Riddhi Sen: SSC নিয়ে, চারিদিকে আগুন জ্বলছে। ২৫ হাজার ৭৫২ মানুষ তাঁদের চাকরি হারিয়েছে। শুধু তাই নয়, মানুষ কাল থেকে কী খাবেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাঁদের একদিকে সব হারানোর আতঙ্ক, অন্যদিকে নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। সারা কলকাতা জুড়ে হচ্ছে প্রোটেস্ট ওয়াক। কিন্তু, রাজ্যের এত মানুষের কেন এই অবস্থা হল? এই নিয়েই এবার আওয়াজ তুলেছেন ঋদ্ধি।
তিনি যেকোনও বিষয়ে সরব। নানা প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলতে তাঁকে দেখা যায়। এবারও তিনি সেটাই করেছেন। গতকাল যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গিয়েছে, মানুষ এখন মানসিক অবসাদের শিকার। পশ্চিমবঙ্গে থাকার প্রসঙ্গে মানুষের চোখ বেয়ে জল আসছে, সেই প্রসঙ্গেই তিনি কী বলছেন? তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। কারণ, গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিতে পারেননি। আর এই প্রসঙ্গে ঋদ্ধি সেন নিজের সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে বলছেন...
আরও পড়ুন - Actress Life: জেল হেফাজতে মেয়ে, ঘণ্টার পর ঘন্টা মন্দিরে দাঁড়িয়ে থেকেছ…
"ঠিক, সবই তো চক্রান্ত, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পারেনা যে নিজেদের রাজ্যের বিরুদ্ধে সব চেয়ে প্রভাবশালী চক্রান্তটা তারা নিজেরাই গড়ে চলেছেন। দোষের আর ভোটের রাজনীতি কি সহজ, কঠিন কেবল ক্ষমা চাওয়া। আমাদের সভ্যতা উন্নত, আমাদের সহ নাগরিকের কান্নায় আমরা খুঁজি TRP, চোখের জলের দায় চাপবে কার ঘাড়ে ? ঘুরতে থাকে দায়, মুচকি হাসির শব্দে নতুন করে শুরু হয় ভোটের রাজনীতি,পক্ষ বিপক্ষের মাঝখানে হারিয়ে যায় সমাধান,চিরন্তন শুধু প্রতিশোধের রাজনীতি।"
এখানেই শেষ না। গতকালই ঘটনায় সমাজ দুই ভাগে বিভক্ত। দেখা যাচ্ছে, কেউ এই যুক্তির পক্ষে, আবার কেউ বিপক্ষে। কেউ বলছেন, কী করে যোগ্য এবং অযোগ্য বিচার হবে। আবার কেউ বলছেন যোগ্যরা কেন জ্বলছে? কেউ অযোগ্যদের কথায় হাসছেন। সেরকমই এক পোস্ট শেয়ার করে, এক ব্যক্তি লিখলেন... "সহ নাগরিকের সর্বনাশ দেখে যে সমাজের এতোটা উল্লাস হয়, তারা কেউ দুর্নীতির বিপক্ষে নয়। আদ্যোপান্ত বিকৃতকাম, স্যাডিস্ট, হিংসায় জর্জরিত এই শ্রেণী শুধুই সর্বনাশের পক্ষে।" আর এই পোস্ট দেখেই ঋদ্ধি নিজের সমাজ মাধ্যমে হতাশার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি লিখেছেন...
"এক নাট্যশালায় আগুন লেগেছে, একজন বিদূষক দৌড়ে এলেন সতর্কতাবার্তা জারি করার জন্য,তবে দর্শক ভাবলেন সেই বার্তা স্রেফ একটা রসিকতা। হাততালিতে ভরে উঠলো হল, বিদূষক দিগুন হতাশায় এবং ভীতিতে সতর্কবার্তা পুনরাবৃত্তি করলো, দিগুন হলো হাততালিও। সভ্যতার শেষকৃত্যের সাক্ষী সেই বিদূষক জানবে, আমরা এক সতর্কবার্তাকে ভেবেছিলাম, এটা তো শুধু রসিকতা মাত্র।"