'টলিউডে দুর্নীতি' নিয়ে বেঁফাস হিরণ চট্টোপাধ্যায়! একসময়কার পর্দার অভিনেতা এখন রাজনীতির মঞ্চে। রাজনীতিতে অবশ্য অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন তিনি। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 'পাশা পাল্টে' হিরণ এখন বিজেপি বিধায়ক। সেই নায়ক-রাজনীতিক-ই টলিউডের ৯৯ শতাংশ কলাকুশলীদের দুর্নীতিগ্রস্থ বলে তকমা সাঁটলেন। যা শুনে ইতিমধ্যেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন টলিপাড়ার অন্যান্য তারকারা, যাঁরা এখন রাজনীতির ময়দানে বেজায় সক্রিয়।
সম্প্রতি চন্দ্রকোণার এক সভায় রাজনৈতিক বক্তৃতার সময়ে টলিপাড়ার দেব, সায়নী, বনিদের মতো তারকাদের খোঁচা দেন হিরণ। নজর এড়ায়নি রাজ্যের শাসকদলের সদস্যদের। দেব যদিও কোনওরকম 'গা করেননি' হিরণের মন্তব্যে। কারণ মাসখানেক ধরেই দেবকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন হিরণ। অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিজেপি বিধায়ক-অভিনেতাকে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়লেন না বনি সেনগুপ্ত, সায়নী ঘোষ, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীরা। বর্তমানে আসলে বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে রাজনীতি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। অনেক তারকাই রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয়। অতঃপর রাজনীতির কাদা ছোঁড়াছুড়ির প্রভাব যে সিনে-ময়দানেও পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
অন্যদিকে, রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে যেভাবে একাধিক তারকাদের যোগযোগ প্রকাশ্যে আসছে, তাতে চাপানোতর হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই প্রেক্ষিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। যার উত্তরে টলিউডের সিনিয়র অভিনেতা চিরঞ্জিতের উত্তর, "হিরণকে আমি চিনি না তেমন। কী সিনেমা করেছে, সেটাও বলতে পারব না। এত কম ছবি করেছে, আর কম সাফল্য পেয়েছে যে দর্শকরাও সম্ভবত নাম মনে করতে পারবেন না। হিরণ নিজেও ওই ৯৯ শতাংশের মধ্যে পড়ে। অন্যদের থেকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ! নইলে জানবেন কী করে?"
<আরও পড়ুন: ‘করণ জোহরই প্রিয়াঙ্কাকে ভারত-ছাড়া করেছে!’ বিস্ফোরক কঙ্গনা, টানলেন ‘টক্সিক’ শাহরুখকেও>
খেপে গেলেন 'অপরাজিত' অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষও। বললেন, "ভীষণ বোকা! হিরণের তো রাজনৈতিক কোনও গুরুত্বই নেই। টলিউডেও গুরুত্ব পান না। আসলে উনি নিজের জন্যই গুরুত্ব পাননি। নমক হারাম বলে একটা কথা হয়.. যে থালায় খেয়েছেন, এখন সেটাতেই ফুটো করছেন। টলিউডে ৯৯ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্থ হলে উনি ১ শতাংশের মধ্যে পড়েন?.. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁর জন্য দরজা খোলেননি বলেই কি এত রাগ? তাছাড়া এভাবে রোজ খবরের শিরোনামে এলে, মন্দ-ই বা কী? নেতা-অভিনেতা কোনোটা হিসেবেই ওঁর কোনও গুরুত্ব নেই।"
ওদিকে বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে কুন্তল ঘোষের আর্থিক লেনদেন নিয়ে যে শোরগোল হয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে তাঁকে 'বাচ্চা ছেলে' বলে সম্বোধনও করেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। শেষপাতে, 'বরবাদ' অভিনেতাও নায়ক-বিধায়ককে বিঁধতে ছাড়লেন না। বনির মন্তব্য, "দীর্ঘদিন ধরেই হিরণ আসলে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে নেই, তাই ক্যামেরার সামনে আসতে চাইছেন। নিজেও তো একসময়ে টলিউডে ছিলেন, তৃণমূলেও ছিলেন, তাহলে কি উনিও চোর, দুর্নীতিগ্রস্থ? ওঁর কথায় আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কিছু যায়-আসে না! বিজেপি ছেড়েছি বলেই আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে।.."
'নমক হারাম! গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে নেই..' টলিউড দুর্নীতির কথা বলতেই হিরণকে 'চেপে ধরল' বনি-সায়নীরা
হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে তুলোধনা বনি, সায়নী, চিরঞ্জিতদের।
Follow Us
'টলিউডে দুর্নীতি' নিয়ে বেঁফাস হিরণ চট্টোপাধ্যায়! একসময়কার পর্দার অভিনেতা এখন রাজনীতির মঞ্চে। রাজনীতিতে অবশ্য অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন তিনি। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 'পাশা পাল্টে' হিরণ এখন বিজেপি বিধায়ক। সেই নায়ক-রাজনীতিক-ই টলিউডের ৯৯ শতাংশ কলাকুশলীদের দুর্নীতিগ্রস্থ বলে তকমা সাঁটলেন। যা শুনে ইতিমধ্যেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন টলিপাড়ার অন্যান্য তারকারা, যাঁরা এখন রাজনীতির ময়দানে বেজায় সক্রিয়।
সম্প্রতি চন্দ্রকোণার এক সভায় রাজনৈতিক বক্তৃতার সময়ে টলিপাড়ার দেব, সায়নী, বনিদের মতো তারকাদের খোঁচা দেন হিরণ। নজর এড়ায়নি রাজ্যের শাসকদলের সদস্যদের। দেব যদিও কোনওরকম 'গা করেননি' হিরণের মন্তব্যে। কারণ মাসখানেক ধরেই দেবকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন হিরণ। অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিজেপি বিধায়ক-অভিনেতাকে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়লেন না বনি সেনগুপ্ত, সায়নী ঘোষ, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীরা। বর্তমানে আসলে বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে রাজনীতি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। অনেক তারকাই রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয়। অতঃপর রাজনীতির কাদা ছোঁড়াছুড়ির প্রভাব যে সিনে-ময়দানেও পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
অন্যদিকে, রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে যেভাবে একাধিক তারকাদের যোগযোগ প্রকাশ্যে আসছে, তাতে চাপানোতর হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই প্রেক্ষিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। যার উত্তরে টলিউডের সিনিয়র অভিনেতা চিরঞ্জিতের উত্তর, "হিরণকে আমি চিনি না তেমন। কী সিনেমা করেছে, সেটাও বলতে পারব না। এত কম ছবি করেছে, আর কম সাফল্য পেয়েছে যে দর্শকরাও সম্ভবত নাম মনে করতে পারবেন না। হিরণ নিজেও ওই ৯৯ শতাংশের মধ্যে পড়ে। অন্যদের থেকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ! নইলে জানবেন কী করে?"
<আরও পড়ুন: ‘করণ জোহরই প্রিয়াঙ্কাকে ভারত-ছাড়া করেছে!’ বিস্ফোরক কঙ্গনা, টানলেন ‘টক্সিক’ শাহরুখকেও>
খেপে গেলেন 'অপরাজিত' অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষও। বললেন, "ভীষণ বোকা! হিরণের তো রাজনৈতিক কোনও গুরুত্বই নেই। টলিউডেও গুরুত্ব পান না। আসলে উনি নিজের জন্যই গুরুত্ব পাননি। নমক হারাম বলে একটা কথা হয়.. যে থালায় খেয়েছেন, এখন সেটাতেই ফুটো করছেন। টলিউডে ৯৯ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্থ হলে উনি ১ শতাংশের মধ্যে পড়েন?.. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁর জন্য দরজা খোলেননি বলেই কি এত রাগ? তাছাড়া এভাবে রোজ খবরের শিরোনামে এলে, মন্দ-ই বা কী? নেতা-অভিনেতা কোনোটা হিসেবেই ওঁর কোনও গুরুত্ব নেই।"
ওদিকে বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে কুন্তল ঘোষের আর্থিক লেনদেন নিয়ে যে শোরগোল হয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে তাঁকে 'বাচ্চা ছেলে' বলে সম্বোধনও করেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। শেষপাতে, 'বরবাদ' অভিনেতাও নায়ক-বিধায়ককে বিঁধতে ছাড়লেন না। বনির মন্তব্য, "দীর্ঘদিন ধরেই হিরণ আসলে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে নেই, তাই ক্যামেরার সামনে আসতে চাইছেন। নিজেও তো একসময়ে টলিউডে ছিলেন, তৃণমূলেও ছিলেন, তাহলে কি উনিও চোর, দুর্নীতিগ্রস্থ? ওঁর কথায় আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কিছু যায়-আসে না! বিজেপি ছেড়েছি বলেই আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে।.."