অভিনেতা শুভজিৎ করকে সম্প্রতি বেশ কিছু নেগেটিভ চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। এবার একটি পজিটিভ নায়কের চরিত্রে আসছেন শুভজিৎ এবং সম্পূর্ণ নতুন লুকে, স্টার জলসা-র 'ধ্রুবতারা' ধারাবাহিকে। নতুন ধারাবাহিক নিয়ে একান্ত কথোপকথনে শুভজিৎ জানালেন তাঁর কেরিয়ারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ধারাবাহিক।
''আমি অনেক দিন ধরে কাজ করছি। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেরই ইচ্ছা থাকে যে স্টার জলসা-য় লিড করব। সেই ইচ্ছাটা পূর্ণ হল। তার জন্য চ্যানেলকে ধন্যবাদ এবং আমাদের প্রযোজক স্নিগ্ধাদি অনেক ধন্যবাদ। আর আমার এই লুক... অনেকেই খুব প্রশংসা করছেন, এটা কিন্তু স্নিগ্ধাদিরই করা। আমাকে যেমন যেমন বলেছিলেন আমি সেরকম করেছি, তার পর ফাইনালি দেখে বললেন পারফেক্ট'', ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে-কে জানালেন শুভজিৎ।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন দীপঙ্কর দে
'ধ্রুবতারা' ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনটি-- ধ্রুব, তারা এবং অগ্নি। এর মধ্যে অগ্নি চরিত্রে রয়েছেন শুভজিৎ কর, ধ্রুব চরিত্রে ইন্দ্রজিৎ বোস এবং তারা-র ভূমিকায় দেখা যাবে শ্যামোপ্তি মুদলি। এর আগে শ্যামোপ্তি-কে দেখা গিয়েছে স্টার জলসা-র বাজলো তোমার আলোর বেণু ধারাবাহিকে। নায়িকা সম্পর্কে শুভজিতের বক্তব্য, ''নায়িকা তো একদম বাচ্চা, ক্লাস ইলেভেনে পড়ে। তবে ভাল কাজ করে।''
কিন্তু ধ্রুব এবং অগ্নি-- এর মধ্যে কে নায়ক আর কে-ই বা খলনায়ক? এই প্রশ্নের উত্তরে শুভজিৎ জানান যে গল্পে দুজন নায়ক আর নায়িকা একজন কিন্তু কোনও খলনায়ক নেই। তবে গল্পে কিছু কূটনীতি রয়েছে। দুটি চরিত্রই পজিটিভ। এর মধ্যে অগ্নির সঙ্গে তারার ছোটবেলা থেকে পরিচয়। দুজন দুজনের প্রেমেও পড়েছে কিন্তু কোনও কারণে সেটা বলে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে অগ্নি বিদেশে গিয়েছে। তবে তারাকে সে ভোলেনি। দেশে ফিরে দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা কোন দিকে যাবে, সেটা সম্প্রচার শুরু না হলে বোঝা যাচ্ছে না।
কিন্তু অগ্নি কেন তারাকে তার মনের কথা বলেনি? ''অগ্নি চরিত্রটা অনেকটা আমার মতো। আমি আসলে খুব চাপা, ইনট্রোভার্ট। সেই জায়গায় এই চরিত্রটার সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্য রয়েছে'', বলেন শুভজিৎ, ''আমি অনেক নেগেটিভ চরিত্র করেছি, অনেক কমিক চরিত্রও করেছি। কিন্তু এরকম সুইট চরিত্র পাইনি। অন্তত মেগাসিরিয়ালে তো নয়। সেটা খুব ভাল লাগছে। তবে এখানে তো ফিল্মের মতো একটা চরিত্রের পুরো গ্রাফ বা জার্নিটা শুরুতে বোঝা যায় না, ওটা ধীরে ধীরে যেভাবে আসবে, ডায়মেনশন অ্যাড হতে থাকবে।''
ঠিক সেই কারণেই টেলিভিশনের অভিনয় অনেকটা কঠিন, বিশেষ করে নতুন যাঁরা পর্দার অভিনয়ে আসছেন। প্রথমদিকে বেশ কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু কাজ করতে করতেই সেই দক্ষতাটা রপ্ত করতে হয় হয়, এমনটাই জানালেন শুভজিৎ। ''আসলে এটা একটা প্র্যাকটিস। প্রথমদিকে একটু শক্ত লাগত ঠিকই। এই দিনের দিন সিন আসছে, মনে হতো, কখন সেটা নিয়ে ভাবব, কখনই বা সংলাপগুলো নিজের গ্রিপে আনব'', বলেন শুভজিৎ, ''কিন্তু ওটাই অভ্যাস করতে করতে টেকনিকটা রপ্ত হয়ে যায়। এখন আমার আর চাপ লাগে না বরং ডুজ আর ডোন্টগুলো খুঁজে বার করতে পারি চট করে। এই প্র্যাকটিসটায় কেউ কেউ মজা পায়, কেউ পায় না। আমি মজা পাই।''