শুটিং বন্ধ হয়েছিল আচমকা কিন্তু শুরুটা আচমকা হওয়া সম্ভব নয়। প্রথমত করোনার প্রকোপ, দ্বিতীয়ত প্রায় তিন মাস শুটিং বন্ধ থাকার ফলে সব শুটিং ফ্লোরগুলিই অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। তাই বিগত কয়েকদিন ধরেই বাংলা ধারাবাহিকের ফ্লোরগুলি পরিষ্কার করা ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। কীভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে ফ্লোর, তার একটি ঝলক ধরা পড়ল রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশন্সের পক্ষ থেকে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে।
সোশাল মিডিয়ায় এবং তার বাইরেও টেলিপাড়া সরগরম। প্রায় তিন মাস পরে শুরু হতে চলেছে শুটিং। ১ জুন থেকেই শুটিং শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল নবান্ন থেকে প্রকাশিত নির্দেশনামায়। কিন্তু সব দিক আলোচনা করে শুটিং শুরু করতে সময় লাগছে। প্রযোজকদের সংগঠন, আর্টিস্টস ফোরাম ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় আলোচনায় বসেছেন।
আরও পড়ুন: আসছে লকডাউনে তৈরি থ্রিলার ওয়েব সিরিজ ‘পবিত্র পাপিস’
আগামী ১০ জুন থেকে শুটিং শুরু হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে। তাই এখন সমস্ত বাংলা ধারাবাহিকের ফ্লোরগুলি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। কীভাবে কাজ হচ্ছে ফ্লোরগুলিতে তা দর্শকের সামনে তুলে ধরেছে রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশন্স। স্টার জলসা-র জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কপালকুণ্ডলা'-র প্রযোজনা করে এই সংস্থা। সম্প্রতি এই সংস্থার সোশাল মিডিয়া পেজে আপলোড করা হয়েছে সেই ভিডিও--
এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। প্রত্যেকেই কল টাইম আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। মোটামুটি ধরে নেওয়া হচ্ছে, যদি ১০ জুন থেকে শুটিং শুরু হয় তবে আগামী ১৫ জুন থেকে আবারও নিয়মিত চলতি ধারাবাহিকের নতুন এপিসোডের সম্প্রচার শুরু হবে। ধারাবাহিকের পাশাপাশি সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের শুটিং করার অনুমতিও মিলেছে সরকারের পক্ষ থেকে। পাইপলাইনে থাকা বাংলা ছবি ও ওয়েব সিরিজের পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এবার প্রযোজনার কাজগুলি শুরু হওয়ার অপেক্ষা। যদিও সব প্রযোজক এখনই সিনেমা অথবা সিরিজের শুটিং শুরু করতে নারাজ।