Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

'দেবী চৌধুরাণী'-র পর 'কপালকুণ্ডলা'! আসছে নতুন বঙ্কিমী ধারাবাহিক

KopalKundola: আরও এক বঙ্কিমী উপন্যাস আসতে চলেছে টেলিপর্দায়। স্টার জলসা-র 'দেবী চৌধুরাণী' প্রজেক্টটি অত্যন্ত সফল হয়েছিল, সম্ভবত সেই কারণেই আরও একটি সাহিত্য-আশ্রিত ধারাবাহিকের পরিকল্পনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Star Jalsha to launch Kopal Kundola based on famous novel by Bankim Chandra Chattopadhyay

'কপালকুণ্ডলা' মোশন পোস্টার।

Star Jalsha serial KopalKundola: 'করুণাময়ী রাণী রাসমণি' জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকেই বাংলা টেলিভিশনের দর্শকের মনে পিরিয়ড গল্পের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে। সে গল্প হতে পারে কোনও বায়োপিক, অথবা কোনও সাহিত্য-আশ্রিত ধারাবাহিক। তাই স্টার জলসা-য় 'দেবী চৌধুরাণী' এতটা সফল হয়েছিল। এবার পর্দায় আসতে চলেছে আরও এক বঙ্কিমী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত মেগাসিরিয়াল-- 'কপালকুণ্ডলা', বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাসগুলির অন্যতম।

Advertisment

সম্প্রতি নতুন এই ধারাবাহিকের একটি মোশন পোস্টার এসেছে সোশাল মিডিয়ায় এবং তা দেখার পরে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত টেলিদর্শক। তবে ওই মোশন পোস্টারে কোনও চরিত্রের মুখ দেখা যায়নি, সাজেশনে এসেছে কপালকুণ্ডলা ও কাপালিক। আর তার সঙ্গে উচ্চকণ্ঠে একটি ডাক-- কপালকুণ্ডলা। আগামী মাসের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকেই আসতে চলেছে এই ধারাবাহিক।

আরও পড়ুন: মহিলারা যে মানুষ সেটাই তো ধরা হয় না: প্রিয়াঙ্কা

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দ্বিতীয় প্রকাশিত উপন্যাস হল 'কপালকুণ্ডলা'। ১৮৬৬ সালে এই উপন্যাসটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস হল 'দুর্গেশনন্দিনী'। যখন 'কপালকুণ্ডলা' লেখা হয়, তখন ঔপন্যাসিক মেদিনীপুর অঞ্চলের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাই উপন্যাসের পটভূমিও মেদিনীপুরের কাঁথির কাছে একটি গ্রাম যা এখন পূর্ব-মেদিনীপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত--

এই উপন্যাসটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলা থিয়েটার ও বাংলা সিনেমায় বহু উল্লেখযোগ্য কাজ রয়েছে। উপন্যাসের প্রথম নাট্যরূপ দিয়েছিলেন গিরীশচন্দ্র ঘোষ ও অতুলকৃষ্ণ মিত্র। এছাড়া মহুয়া রায়চৌধুরী ও রঞ্জিত মল্লিক অভিনীত ১৯৮১ সালের বাংলা ছবিটিও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। এছাড়া এই উপন্যাসটি অনূদিত হয় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে সাতটি ভাষায়-- হিন্দি, গুজরাতি, তামিল, তেলুগু, সংস্কৃত, ইংরেজি ও জার্মান।

বাংলা সাহিত্যের এই যুগান্তকারী উপন্যাসটি টেলিপর্দায় এলে তা নিঃসন্দেহে আনন্দের। কিন্তু কাস্টিং এবং অভিনয় খুব ভালো না হলে দর্শক কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না। 'দেবী চৌধুরাণী'-র জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ছিল সোনা সাহা-র কাস্টিং। আশা করা যায় নবকুমার ও কপালকুণ্ডলা-র চরিত্রে ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই দেখতে পাবেন দর্শক।

Bengali Serial Bengali Television
Advertisment