বক্সঅফিস দৌড় তাঁকে ভাবায় না। ভাবায় গল্পের চরিত্রেরা। যে চরিত্র তাঁর রাতের ঘুম উড়িয়ে দেয়। তাঁকে দৌড় করায়। যে চরিত্রকে আত্মস্থ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে ভাবায় সেই চরিত্রগুলোই। তাই বক্সঅফিস প্রতিযোগিতা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। বরং পারফরম্যান্সে বিশ্বাসী।
বাইশ সালটা শুভশ্রীর ছবিতে ছবিতে কেটে গিয়েছে। একের পর এক আটকে থাকা সিনেমা যেমন রিলিজ করেছে, তেমনই একাধিক নতুন কাজে হাত দিয়েছেন অভিনেত্রী। এই যেমন 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' সিরিজের সুবাদে ওটিটি প্ল্য়াটফর্মের পা রেখেছেন, তেমনই তেইশের শুরুতে অফিশিয়ালি নিজেকে প্রযোজক হিসেবে ঘোষণা করেছেন অভিনেত্রী। স্বামী রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত সিরিজ 'আবার প্রলয়'-এর প্রযোজনা করছেন।
'হাবজি-গাবজি', 'ধর্মযুদ্ধ', 'বিসমিল্লাহ', 'বৌদি ক্যান্টিন'-- প্রতিটি ছবির জন্যই নিজেকে ভেঙেছেন শুভশ্রী। ২০২২ সালে টলিউডের প্রথমসারির আর কোনও অভিনেত্রীরই এতগুলো ছবি মুক্তি পায়নি। আর ২০২৩ সালের শুরুটা করলেন 'ডক্টর বক্সী' রিলিজ দিয়ে। যে সিনেমার সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে আরও দুটি বাংলা সিনেমা। প্রথমত, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'কাবেরী অন্তর্ধান' এবং দ্বিতীয়ত 'দিলখুশ'। অন্যদিকে, মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানেই মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খানের বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা 'পাঠান'। যে সিনেমার জন্য বাংলা ছবি স্লট কম পাচ্ছে সিঙ্গলস্ক্রিনে। তাই বক্সঅফিস অঙ্ক নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই যে সিনেনির্মাতাদের কপালে ভাঁজ পড়বে তা বলাই বাহুল্য। তবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় সেই তালিকায় নন।
<আরও পড়ুন: সন্ধে হলেই লোডশেডিং! নকশালদের ভয়ে মা-বোনের সঙ্গে টালিগঞ্জের বাড়ি ছাড়েন প্রসেনজিৎ>
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার মুখোমুখি হয়ে শুভশ্রী জানালেন, "লক্ষ্মীলাভ নিশ্চয় দরকার। বক্সঅফিসের ব্যবসাতেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি চলে। বাংলা সিনেমা ভাল ব্যবসা করলে আখেড়ে সকলেরই লাভ। কারণ বহু মানুষের রুটি-রুজি এই ইন্ডাস্ট্রি। তবে বক্সঅফিস গোড়া থেকেই কখনও ভাবায়নি। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার গোটা কেরিয়ারে ফ্লপ কিংবা গড়পড়তা ছবির সংখ্যা খুব কম। আমি সবসময়ে ব্লকবাস্টার ক্লাবেই থেকেছি। নিজেকে এজন্য ভাগ্যবান বলে মনে করি। যদিও এর কৃতীত্ব পরিচালক থেকে কলাকুশলী সকলের।"
'পাঠান' প্রসঙ্গে শুভশ্রীর মত, "এত বছর পর শাহরুখ খান বড়পর্দায় আসছেন। সিনেমাটা দারুণ হিট হবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে ১ সপ্তাহ আগে যেহেতু 'ডক্টর বক্সী' রিলিজ করছে। তাই আশা করব দর্শকরা ততদিনে আমাদের সিনেমাটা দেখে নেবেন। কারণ বাঙালি দর্শকরা আগাগোড়া ভীষণ স্মার্ট।"