সালটা ১৯৪৩, নব্বই দিন সাবমেরিনে থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছেছিলেন নেতাজি। ৩ জুলাই তাঁকে স্বাগত জানায় আজাদ হিন্দ ফৌজ। আর সেই গানটি ছিল “সুভাষজি, সুভাষজি, হ্যায় নাজ জিসপে হিন্দ কো…”। সুতরাং, গানটির সঙ্গে পরিচিতি অনেকদিনের। রবিবার মুক্তি পেল গুমনামী-র এই গান। সোনু নিগমের কণ্ঠ আচ্ছন্ন করে রাখল নেতাজি প্রেমীদের। পুরনো এই গান নতুন করে শোভা পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে। এই গানের মাধ্যমৈই আরও একটু স্পষ্ট হল ছবিতে প্রসেনজিতের সুুভাষ বেশ।
Advertisment
সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের সামনে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে ‘গুমনামী’র সমস্ত শিল্পীদের সামনেই প্রকাশ্যে এল ছবির প্রথম গান। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে ছবি ‘গুমনামী’। তাইহকু বিমান দুর্ঘটনা, রাশিয়ান থিওরি ও গুমনামী থিওরি- এ-ই তিনটি সম্ভাবনাকে সম্বল করেই তৈরি সৃজিতের এই ছবি। মুখার্জী কমিশনের তথ্যে নির্ভর করেই এগিয়েছেন পরিচালক।
‘গুমনামী’র লুকের জন্য বেশ ঝুঁকি নিতে হয়েছে প্রসেনজিতকে। ওজন বাড়ানো থেকে প্রস্থেটিক মেকআপ, প্রায় ঘন্টা তিনেকের পরিশ্রমের পর এই চেহারা তৈরি হয়েছে। আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু। কিন্তু বিতর্কের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে 'গুমনামী'।তবে আশা করা যাচ্ছে যতই বিতর্ক দানা বাঁধুক না কেন সুভাষ বোসের অন্তর্ধান রহস্যকে পর্দায় ঘনীভূত হওয়ার আগে জল্পনায় ইতি টানবেন সৃজিত। ছবিতে প্রসেনজিত ছাড়াও রয়েছেন অণির্বান ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা।পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে ‘গুমনামী’।