/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sudipa-2025-09-15-16-22-13.jpg)
যা যা বললেন সুদীপা...
ছোটবেলা থেকে যেকোনো মানুষের নির্দিষ্ট কিচভহু ইচ্ছে থাকে। ঠিক সেরকমই এমন একজন সঞ্চালিকা এবং অভিনেত্রী আছেন, যিনি ছোট থেকে বিয়ে করতে চাইতেন একটা নির্দিষ্ট কারণেই। এবং সেই ঘটনাই তিনি উজাড় করেছেন সবার সামনে। তাঁর বাবার প্রসঙ্গে এবার কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে। তিনি আর কী কী বলছেন?
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, যিনি বাংলার রান্নাঘরের অন্যতম কর্ত্রী, তাঁকে নিয়ে নানা আলোচনা লেগেই থাকে। বলা উচিত, তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মাঝেমাঝে। কখনও ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে তর্কে ফাঁসেন, আবার কখনও অন্য গণ্ডগোল। সুদীপার বিবাহিত জীবন নিয়েও নানা মানুষ নানা কথা বলেন। তবে, খেয়াল করলে দেখা যাবে তিনি নাকি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এই নির্দিষ্ট কারণের জন্যই। সোজাসুজি তাঁকে বলতে শোনা গেল...
বাবার সঙ্গে বসে শ্বশুরবাড়ি থেকে কীভাবে রেহাই পাবেন, সেই আলোচনা করতেন। সুদীপা তাঁর সুপারহিরো অর্থাৎ তাঁর বাবার ছবি দিয়ে সমাজ মাধ্যমে লিখছেন..." বাবা… আমি সবসময় স্বপ্ন দেখতাম বেনারসি শাড়ি আর সুন্দর ট্র্যাডিশনাল গয়না পরে বিয়ে করার। কনে হয়ে শুধু সাজগোজ আর গয়না কেনাতেই আমার মন ভরতো। তাই বাবাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতাম- “শ্বশুরবাড়ির ঝামেলা থেকে কীভাবে মুক্তি পাবো?”
কিন্তু, আর পাঁচজন মেয়ের বাবার মতো তিনিও মেয়েক্লে বাঁচার উপায় বলে দিতেন। এমনকি, এও শেখাতেন কী করে শাশুড়ির মাথা চিবিয়ে খেতে হয়। তিনি আরও বললেন, "বাবা সবসময় মন দিয়ে শুনতেন, গম্ভীর মুখে একটু থেমে থাকতেন, আর তারপর হেসে আমাকে শিখিয়ে দিতেন, কেমন করে হবু শাশুড়ির মাথা খাওয়া যায়, কেমন করে নতুন নতুন উপায় বের করে পালানো যায়।" কিন্তু, নিজের শিক্ষার ওপর তাঁর অগাধ ভরসা ছিল। এমনকি, জানতেন তাঁর মেয়ে ঠিক কী করতে পারেন। বাবার কথা উল্লেখ করেই তিনি জানান...
"বাবা বলতেন, আমার লালন-পালনের উপর অগাধ বিশ্বাস আছে। তুমি যদি আমার নির্দেশ মেনে চলো, তবে ওরা নিশ্চয়ই তোমাকে আবার আমাদের কাছেই ফেরত পাঠাবে।"তার পরিকল্পনা ছিল একেবারে সিরিয়াস, যাতে আমি সবশেষে আবার তার কাছেই ফিরে আসি- চিরদিন, শুধুই তার সঙ্গেই থাকতে পারি।"