বৃহস্পতিবার সকালে এক ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদে দিন শুরু হল টলিপাড়ার। ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই এসকে মুভিজ প্রযোজনা সংস্থার স্টুডিও, গোডাউন। কুঁদঘাট এলাকার বাবুরাম রোডে ছড়িয়ে পড়ল কালো ধোঁয়া। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন অনভিপ্রেত ঘটনায় যে টলিউডেও প্রভাব পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। সকাল সকাল এমন খবর পেয়ে মন খারাপ সুদীপ্তা চক্রবর্তীর।
দুঃখপ্রকাশ করে অভিনেত্রী বললেন, "খবরটা শুনে ঠিক যতটা দুঃখ পেলাম, ততটাই হতবাক! এসকে মুভিজ-এর গোডাউন পুড়ে ছাই। দিনের শুরুতেই এমন বিধ্বংসী একটা খবর। কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমার।" নস্টালজিয়া ঘেঁটে সুদীপ্তা বললেন, "মিটিং, স্ক্রিপ্ট সেশন, মেকাপ টেস্ট, লুক সেট থেকে ফটো শুট আরও কত কী করেছি সেখানে। সত্যিই আমার দুঃখপ্রকাশ করার কোনও ভাষা নেই।" পাশাপাশি এই দুঃসময়ে এসকে মুভিজ-এর দুই কর্ণধার হিমাংশু ধানুকা ও অশোক ধানুকার পাশে থাকার কথা কথাও জানালেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
এসকে মুভিজের গোডাউন থেকে ওঠা লেলিহান অগ্নিশিখার বিধ্বংসী ভিডিও শেয়ার করে পরিচালক রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ভীষণ দুঃখের খবর। বাংলা সিনেমার খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেল।' ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন টলিপাড়ার আরেক পরিচালক অয়ন চক্রবর্তীও।
অয়ন জানান, শর্ট ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ, তথ্যচিত্র তৈরির জন্য গোটা বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করত এসকে মুভিজ। আশা করি, এই বিপর্যয় থেকে এসকে উঠে দাঁড়াক। হিমাংশু, অশোক ধানুকা ও এসকে মুভিজের অসংখ্য কলাকুশলীদের পাশে রয়েছি।
প্রসঙ্গত, এদিন প্রযোজনা সংস্থার ইক্যুইপমেন্ট গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে যান ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। তিনি জানান, এমনিতেই ওই গোডাউনের জমি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাছাড়া স্টুডিওয় আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে তড়িঘড়ি আগুন ছড়ানোয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোডাউন সংলগ্ন বস্তির বেশ কিছু বাড়িও। প্রায় ১৮টা ঘরের চাল পুড়ে গিয়েছে। যাদের ঘর পুড়ে গিয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে পুলিশি সূত্রে খবর, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। সেইসময়ে গোডাউনে কেউ ছিলেন না। কাজেই প্রাণহানি হয়নি। তবে যে বিপুল পরিমাণ সিনেমা, শুটিংয়ের সরঞ্জাম রাখা ছিল, সেগুলো সব পুড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।