ধারাবাহিকের গল্পে বিয়ে থাকবেই। টেলিপর্দায় সোশাল ড্রামা মানেই সম্প্রচার শুরু হওয়ার এক-দেড়মাসের মধ্যেই নায়ক-নায়িকার বিয়ে হবে। কতটা প্রাসঙ্গিক এবং গ্রহণযোগ্যভাবে গল্পকে টেনে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে ফেলা যায়, সেখানেই চিত্রনাট্যকারদের মুন্সিয়ানা। সান বাংলা-র ধারাবাহিক 'সর্বমঙ্গলা' বেশ আকর্ষণীয় একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে এখন। এবার বিয়ের দিকে এগোচ্ছে ধারাবাহিকের গল্প, এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
যাঁরা ধারাবাহিকটি দেখেননি, তাঁদের জন্য একটি রিক্যাপ-- গ্রামের মেয়ে সর্বমঙ্গলা ধূপকাঠি বানিয়ে, বিক্রি করে সংসার চালায়। অভাবের সংসারে এক সময় বসতবাড়িটি বন্ধক রেখে দেয় তার বোন এক মহাজনের কাছে, এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে। সর্বমঙ্গলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে শহরে আসে এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে যে সে ধূপ বিক্রি করে এক লক্ষ টাকা জোগাড় করে আনবে একদিন এবং বাড়িটি উদ্ধার করবে।
আরও পড়ুন: প্রস্তুতির সময়ই পাইনি, তিন ঘণ্টায় লাঠিখেলা শিখেছি: প্রিয়ম
সর্বমঙ্গলার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে অনীশ এবং উপায় না দেখে শহরে তার নিজের বাড়িতেই আশ্রয় দেয় সর্বমঙ্গলাকে। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন ক্রাইসিস। কোনও সম্পর্ক ছাড়াই কী করে একটি মেয়ে আশ্রয় নিতে পারে অনীশের বাড়িতে সেই প্রশ্ন ওঠে। ঝামেলা এড়াতে সর্বমঙ্গলাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফেলে অনীশ। তার পরে প্রশ্ন ওঠে শাঁখা-সিঁদুর ইত্যাদি নিয়ে।
এমন একটা পরিস্থিতি সামাল দিতেই নিছক স্ট্র্যাটেজি হিসেবে অনীশ সিঁদুর পরিয়ে দেয় সর্বমঙ্গলার সিঁথিতে। অনীশের কাছে এটি নিছকই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অস্ত্র, সর্বমঙ্গলার কাছে কিন্তু তা নয়। গ্রামের মেয়ে সর্বমঙ্গলার কাছে সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার অর্থ আসলে বিয়েই। দেখে নিতে পারেন সাম্প্রতিক প্রোমোটি নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
আবার অনীশের পরিবারের বেশিরভাগ মানুষের কাছেও কিন্তু এই বিয়ে নকল নয়। তাই এবার এই নকল বিয়ের মিথ্যেকে ঢাকতে আসল বিয়ের আয়োজন শুরু হল বলে। কিন্তু অনীশ কি আদৌ বিয়ের জন্য প্রস্তুত? একটি মেয়ের বিপদের দিনে তার পাশে দাঁড়ানো আর তাকে বিয়ে করার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত।
সে কি এবার আসল বিয়ের জন্য রাজি হবে? অর্থাৎ আরও জমজমাট হতে চলেছে সান বাংলা-র রাত নটার স্লটের এই ধারাবাহিকটি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন