Sunjay Kapur 10 Year Plan: দিনটা ছিল ১২ জুন। পোলো খেলার সময় মৌমাছি গিলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুরের। ২২ জুন রবিবার ২২ জুন বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সঞ্জয়ের পরিবার ও করিশ্মা-করিনারা প্রত্যেকে সেই শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট যেখানে তিনি বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করেছিলেন।
এছাড়াও সঞ্জয়ের লেখা আরও একটি পোস্ট ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে অনেকেরই অনুমান তিনি মৃত্যুর ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। পোলো ম্যাচের শেষ ছবিও ছড়িয়ে পড়ে নেটপাড়ায়। এবার প্রকাশ্যে আরও এক সত্য। মৃত্যুর তিন মাস আগে Indian Silicon Valley podcast-এ এসে আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনার কথা শেয়ার করেছিলেন সঞ্জয় কাপুর।
তিনি বলেছিলেন, 'আমার কাছে মানুষের বিশ্বাস আর সম্মানই মূপল সম্পদ। পরিবারের প্রত্যেকে একসঙ্গে থাকুক এটাই আমার জীবনের লক্ষ্য। আমি আর আমার স্ত্রী দুজনেই ভাল বাবা-মা হিসেবে সফল হতে চাই। সেই জন্য আমরা পেরেন্টিং-এর একটি কোচিং ক্লাসও করি। এছাড়াও সপ্তাহে একদিন ভগবত গীতার উপরও একটি কোচিং সেশন করি। আমি চাই আমার পরিবার, সন্তান মানুষের বিশ্বাস, ভালবাসা, একত্রিত হয়ে বাঁচার আনন্দের মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা অর্জন করুক।'
আরও যোগ করেন, ' জীবনে চলার পথে এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে ইউনিটি তৈরি করাটা খুব প্রয়োজন। আমরা ভিন্ন পরিবারের অংশ, তাই সেটা খুব একটা সহজ বিষয় নয়। তবে সৌভাগ্যবসত আমরা এমন এক পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত যেখানে প্রত্যেকে একসঙ্গে কাজ করে, পরস্পরকে ভালবাসে। আমার মৃত্যুর পরও যেন আজীবন এই সিস্টেমের মধ্যেই প্রত্যেকের জীবন অতিবাহিত হয় সেটাই আমার মনের ইচ্ছে।'
সঞ্জয়ের কথায়, 'আমি একজন খুব ভাল প্ল্যানার। অক্টোবরে আমি নিজর জন্য আগামী ১০ বছরের জন্য একটি প্ল্যান তৈরি করেছি। সেখানে আমি কোন বিষয়ের উপর ফোকাস করব তার উল্লেখ রয়েছে। কিছুটা ব্যবসা সংক্রান্ত আবার কিছুটা কর্মক্ষেত্রের বাইরের জীবন। বেশিরভাগটাই কর্মজীবনের বাইরের সংকল্প। কোন কাজটা করব আর কোনটা করব না সেই বিষয়ে আমি একদম নিশ্চিত। আমার কাছে খেলা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন 'আর কখনও আমাদের...', করিশ্মার প্রাক্তন স্বামীর প্রয়াণের ১০ দিন পর প্রকাশ্যে কোন সত্য?
আরও বলেন, ' আমি পোলো খেলতে ভালবাসি। একটা টিমের তত্তাবধানের দায়িত্ব পালন করি। একইরকমভাবে পরিবারও আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমি ১০ বছরের পরিকল্পনার বিষয়ে লিখছিলাম তখন আমি কাজ সম্পর্কিত এবং কাজ বহির্ভূত, ফাউন্ডেশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে ভেবেছিলাম। কাজ বাদ দিয়ে শুধু বসে থাকার মতো মতো মানুষ আমি নই। নিজের মর্জির মালিক হওয়া চরম বিলাসিতা। ২০২৫ সালকে সামনে রেখে আগামী দিনে আমি কী করব তা সংজ্ঞায়িত করেছিলাম।'
আরও পড়ুন জটিলতা কাটিয়ে মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর শেষকৃত্য, প্রাক্তন স্বামীকে শেষবার দেখতে দিল্লিতে করিশ্মা