প্রায় একসপ্তাহ হল প্রেক্ষাগৃহে ফিরে এসেছে হৃতিক জ্বর। মেইনস্ট্রিম না হলেও সিনেমায় গ্রিক গডকে ফিরে আসতে দেখে উচ্ছ্বসিত ছিলেন দর্শকরা। বক্সঅফিসে মোটামুটি ভালই ফল করছে হৃতিক রোশনের ছবি 'সুপার থার্টি'। এখনও পর্যন্ত আনন্দ কুমারের বায়োপিকের মোট আয় ৬৪.০৭ কোটি টাকা। শনিবার এই ছবির আয় ছিল ১৮.১৯ কোটি, রবিবার ২০.৭৪ কোটি, সোমবার ৬.৯২ কোটি, মঙ্গলবার ৬.৩৯।
ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ এদিন টুইটে হৃতিকের ছবির ব্যবসার বিবরণ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, সুপার থার্টি রিভিউ: ছাঁচ ভেঙে বেরোতে পারলেন কই হৃতিক?
তবে এই সপ্তাহে জোর টক্কর হতে চলেছে দ্য লায়ন কিংয়ের সঙ্গে। একে সিম্বার উন্মাদনা তারওপরে শাহরুখ জ্বর, সবমিলিয়ে হৃতিককে বেশ বেগ পেতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তরণ আদর্শ টুইটে এই সম্ভবনার কথাই লিখেছেন।
বুধবার ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু দিল্লিতে সুপার থার্টি দেখেছেন। টুইটারে ছবির প্রশংসাও করেন। মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়ছে এই ছবি। কেবলমাত্র চিত্রনাট্য হিসেবে দেখলে হয়তো আপনার চোখে জলও আসতে পারে। তবে খটকা লাগবে যদি মনে হয়, এটা তো একজনের বায়োপিক, জীবন কাহিনী। সেই নিরিখে ‘সুপার থার্টি’ অতীব বেমানান। অতিনাটকীয়তা এ ছবির পরতে পরতে। প্রথমত, একজন দরিদ্র অঙ্কের মাস্টারের পেটানো চেহারা, ঝকঝকে দাঁত, গোলাপি মাড়ি, এদিকে গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ? আর যাই হোক, ময়লা কাপড় পরিয়ে আর মুখে দু’পোঁচ কালি লেপে দিয়ে হৃতিককে প্রধান চরিত্রে আনা যায় নি। দ্বিতীয়, তাঁর হাঁটাচলা, কথা বলা, সবকিছুই আগে বহুবার দেখেছে পাব্লিক। তথাকথিত ‘বোকা’, বা ‘সরল’ চরিত্র মানেই তো ‘কোই মিল গয়া’ নয়।
Read the full story in English