বছর দুয়েকের বেশি সময় পরে সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি কুপার ময়নাতদন্তের সময়ে দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের মর্গের ডোমের। ওই ব্যক্তি জানান, "আত্মহত্যা নয়, খুন হয়েছিলেন সুশান্ত।" এমন কথা প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
২০২০ সালের জুন মাসের কথা। মুম্বইয়ের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। সেই রহস্যজনক মৃত্যু খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে বিতর্ক এখনও জারিয নারকোটিক্স বিভাগ, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত জারি রেখেও এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। একটা মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশ তথা বলিউডকে। এবার বছর দুয়েক বাদে এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল।
কুপার হাসপাতালের কর্মী রূপকুমার শাহ দাবি করেন, "সুশান্তের দেহে ও গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা দেখে মনে হয়েছিল ওঁর শরীরের কোনও অঙ্গের হাড় হয়তো ভেঙে গিয়েছে। যেদিন সুশান্ত মারা যান, সেদিন কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য ৫টি বডি এসেছিল। সেই পাঁচটার মধ্যে একটি ভিআইপি। এরপর ময়নাতদন্তের ঘরে শরীর থেকে কাপড় সরাতেই দেখতেই পাই যে ওটা সুশান্তের বডি। ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, ওই ক্ষতের চিহ্নগুলো দেখে স্বাভাবিক মনে হয়নি।"
<আরও পড়ুন: ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এর শুটিং শেষ, নাক ডেকে ঘুম অনুষ্কার, জাগাতে নাকাল ঝুলন গোস্বামী!>
এখানেই শেষ নয়। ওই কর্মী এও জানান যে, "বিষয়টি নিয়ে আমি উচ্চপদস্থ কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাই। বলি, এটা আত্মহত্যা নয়, খুন। কিন্তু আমাকে নিয়ম ও ওপরমহলের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়। সিনিয়ররাও সেই নির্দেশ দেন। তাছাড়া পোস্টমর্টেম রেকর্ড করার নিয়ম রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শুধু ছবি তুলে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর যত দ্রুত সম্ভব ছবি তুলে ময়নাতদন্ত করে দেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর ময়নাতদন্ত হয়েছিল রাতে। আর উচ্চপদস্থ কর্মীদের তরফে আমাকে বলা হয় যে, এটা নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব।"
প্রসঙ্গত, সুশান্তকে খুন করার ত্বত্ত্ব আরও জোরদার হওয়ার পরই অভিনেতার বোন শ্বেতা সিংহ কীর্তি কুপার হাসপাতালের ওই কর্মীর নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের কাছে। তাঁর প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করছেন তিনি। পাশাপাশি সিবিআইকে আরও দ্রুত এই তদন্ত সারার দাবিও জানান সুশান্ত সিং রাজপুতের বোন শ্বেতা।