১৪ই জুন ঠিক কি ঘটেছিল? সবটাই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানালেন সুশান্ত সিং রাজপুত এর জামাইবাবু বিশাল সিং ক্রীতি। কীভাবে একটা পরিবারকে তছনছ করে দিতে পারে তার সবটাই উল্লেখ করলেন লেখায়। বর্তমানে দুই সন্তানের বাবা বিশাল। কাজের সূত্রে পরিবারকে নিয়ে আমেরিকায় থাকেন তিনি।
সেদিন আমেরিকায় তখন মধ্যরাত। ক্রমশ বেজে চলেছে ফোন। ঘুমে আচ্ছন্ন চোখ নিয়ে তড়িঘড়ি উঠে ফোন ধরি। সবাই একটাই প্রশ্ন করছে মেসেজ ফোনে সুশান্তের খবরটা কি সত্যি? খবরের চ্যানেল খুলে দেখি নিজের জীবন নিয়ে নিয়েছে সুশান্ত।
তখনও শ্বেতার ফোন বেজে চলেছে। সেই মুহূর্তটা আমার কাছে ছিল সবচেয়ে কঠিন সময়। কীভাবে খবরটা শ্বেতাকে দেবো, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি আজও ভুলতে পারি না ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, রানীদির সঙ্গে তার কথোপকথন। ফোনে একের পর এক কান্নার গলা। ভেঙে দিয়েছে গোটা পরিবারকে। ঐ রাতটা আমাদের জীবনকে অদলবদল করে দিয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শ্বেতাকে ভারতে পাঠানো একেবারেই সম্ভব হচ্ছিল না। আমার সন্তানরা মামার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিল।
আজ আমি এই লেখা শেয়ার করছি কারণ গত দু'মাসে একটা রাত আমরা নিশ্চিন্তে দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি। লড়াই করে চলেছি। লড়াই ক্রমশ কঠিন হতে চলেছে। অনুভূতি ও দুঃখ বাড়ছে বইকি, কমছে না। সেই রাতটা আমাদের কাছ থেকে কি কেড়ে নিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
বিশাল উল্লেখ করেছেন, যে তিনি এবং পরিবার "নিরপেক্ষ তদন্ত" চান যা "কী ঘটেছিল তার বিষয়ে আলোকপাত করবে এবং এমন কিছু উদঘাটন হোক যা সুশান্তের সাথে কী ঘটেছিল সেই চিন্তার পরিবর্তে তাঁর স্মৃতি চারণে মনোনিবেশ করতে পারি এবং কেন তিনি পারেননি? ” বিশাল সুশান্তের সমস্ত অনুরাগী এবং অনুগামীদের "সত্যের পক্ষে থাকার জন্য" অনুরোধ করেছেন।
Read the full story in English