করোনার (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ভয়াবহ পরিস্থতি ভারতে। সংক্রমণের তালিকায় বিশ্বে পয়লা নম্বরে। কিন্তু এদিকে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভ্যাকসিনের অভাবে ধুকছে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় নাজেহাল হতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। প্রাণ ওষ্ঠাগত করোনায় আক্রান্তদের পরিবারগুলিরও। অক্সিজেনের (Oxygen) অভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগীর আত্মীয়রা। কারও বাবা হাসপাতালের বিছানা থেকে লড়ছেন, কারও বা মা-ভাই-বোন। সকলেই একটু নিঃশ্বাস নিতে চাইছেন। কিন্তু বাজারে অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব। এমন চরম পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। হাজার কাঠখড় পুরিয়ে দিল্লির (Delhi) ছোট হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে দিলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার।
নেটমাধ্যমেই চোখে পড়েছিল এক চিকিৎসকের কাতর আর্জি। অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। দিল্লির শান্তি মুকুন্দ হাসপাতালের ওই মরণাপন্ন ভিডিও দেখেই মন কেঁদে ওঠে সুস্মিতার। তড়িঘড়ি টুইট করে জানিয়ে দেন যে, তিনি কয়েকটি অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করতে পেরেছেন, কিন্তু কীভাবে দিল্লিতে পৌঁছে দেবেন, তা বুঝতে পারছেন। অভিনেত্রীর এমন অসহয়তার কথা শুনে এগিয়ে আসেন এক নেটজনতা। শেষমেশ তাঁর সাহায্যেই দিল্লির ওই হাসপাতালে পৌঁছে দেন অক্সিজেন সিলিন্ডার।
তবে মহারাষ্ট্রেও (Maharashtra) করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একপ্রকার ধুঁকছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে বেড দিতে পারছেন না মুমূর্ষু রোগীকে। এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে কিনা সুস্মিতা সেন দিল্লিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠাচ্ছেন? প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছিলেন অনেকেই। এমন সমালোচনার জবাবও ঠান্ডা মাথায় ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। বললেন, "মুম্বইয়ে এখনও অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিমিত। তবে দিল্লিতে দরকার। বিশেষ করে এই ধরনের ছোট হাসপাতালগুলির প্রয়োজন। পারলে সাহায্য করুন।" তবে কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিতে পেরে, বেজায় খুশি সুস্মিতা সেন।