সুদূর মুম্বই থেকে প্রেমিক রোমান শল-সহ দুই মেয়ে গোটা পরিবারকে নিয়ে কলকাতায় সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। উপলক্ষ্য এক তুতো বোনের বিয়ে। কোথায় বলিউডের সেলেবসুলভ হাবভাব? এ যেন একেবারে বাড়ির মেয়ে। প্রেমিক রোমানকে বিয়ের পিঁড়ি ধরতে শেখালেন, বাঙালি বিয়ের সাত পাক ঘোরা থেকে শুরু করে মন্ত্রোচ্চারণ, মালাবদল, পানপাতার আড়াল থেকে শুভদৃষ্টি... সবকিছুই প্রশিক্ষণ দিয়ে নিলেন। পাত পেড়ে কড়াইশুটির কচুরি, চিতল মাছের মুইঠ্যাও খেতে ভুললেন না। আর কলকাতায় যখন এসেছেন মাটির ভাঁড়ের চা তো মাস্ট! বোনের বিয়ের গোটা একটা দিন চুটিয়ে মজা করলেন আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে।
সুস্মিতার জ্যাঠতুতো বোন ঐন্দ্রিলা সেনের বিয়ের আসর বসেছিল কোন্নগরের নবগ্রামের এক বাড়িতে। জ্যাঠুর পালিতা কন্যা হলেও সুস্মিতার সঙ্গে ঐন্দ্রিলার সম্পর্ক চিরকালই ভাল। তাই বোন যেদিন জানিয়েছিলেন বিয়ের কথা অভিনেত্রী শুধু একটাই কথা বলেছিলেন, "বিয়ের তারিখটা জানিয়ে দিস। সবাই মিলে চলে আসব।" বোনকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন। কোন্নগরের বাড়িতে এলেন মা-বাবা, প্রেমিক রোমান শল, দুই মেয়ে আলিশা ও রিনি, ভাই রাজীব সেন ও তাঁর স্ত্রী চারু আসোপাকে নিয়ে। গোটা বিয়ের নিয়ম-নীতি কাছ থেকে দাঁড়িয়ে দেখলেন। রোমানকেও বাঙালি রীতির বিয়ে শেখালেন। ডায়েট ভুলে কবজি ডুবিয়ে খেলেন। চিতল মাছের মুইঠ্যা, মাটন কষা, পাতুরি, পোলাও থেকে কড়াইশুটির কচুরি, কিছুই বাদ দেননি।
উল্লেখ্য, বিয়ের আসরেই দেখা গেল রাজীব ও রোমানকে ঐন্দ্রিলার পিঁড়ি ধরতে। সেজেগুজে কনেযাত্রী হিসেবে সুস্মিতার পরিবার যে বেশ ভালই মজা করলেন, তা বলাই বাহুল্য। তবে কাকপক্ষীটিও টের পেল না। দুপুর থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহরতলীর বাড়িতে বাড়িতে থেকে রীতিমতো হইচই করেছেন সুস্মিতা সেন। বিয়ের আসরেও বোনের সাজগোজের দিকে কড়া নজর ছিল দিদি সুস্মিতার। বাসর জাগার পরিকল্পনা থাকলেও পারেননি। কারণ, রাতে তাঁর একটু অসুস্থ বোধ করায় ফিরে আসতে হয়েছিল।