হিজরা... এই একটা শব্দর সঙ্গে সমাজের নানা মন্তব্য, বাঁকা দৃষ্টি, এমনকি কত কটু কথা। এমন একটা সমাজ যার ইতিহাস রয়েছে প্রায় অনেকদিনের। তাও, তাদের ভাল চোখে দেখার মানুষ খুব কম। ট্রেনে বাসে, রাস্তায় জোড়ে তালির আওয়াজ কানে গেলেই কেউ মুখ ফিরিয়ে নেয় আবার কেউ মাথা নামিয়ে নেন। কিন্তু, গৌরী সাওয়ান্ত এর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়েই সুস্মিতা সেন যা বুঝলেন...
খারাপ চোখেই বেশি দেখা হয় তাঁদের। কিন্তু আসলেই কি বিষয়টি ঠিক। একেই তালি ছবিতে সুস্মিতার অভিনয় ট্রেলার রিলিজের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু, সুস্মিতা নিজে যা বুঝলেন, তাতে বেশ অবাক হয়েছেন তিনি। ছবিতে গণেশ এবং গৌরী দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একজন পুরুষ এবং একজন নারী, ফলেই শারীরিক গঠনের দিকে নজর দেওয়া ভীষণ দরকার ছিল। তাঁর সঙ্গেও তিনি সমাজে তাদের অবস্থানের নানা দিক উল্লেখ করে বললেন...
আরও পড়ুন < ‘পুলিশের নীতিবোধ আজ…’, রক্ষকদের কর্তব্য নিয়ে সরব ‘অনিমেষ’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় >
"একটা সমাজ, একটা কমিউনিটি যেটি প্রায় ৪০০০ বছরের পুরনো তাদের এত ভয়ঙ্কর কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমি ভাবতেও পারি না, আজও সমাজে তারা সঠিকভাবে স্থান পায়নি। মানুষকে বুঝতে হবে হিজরা শব্দটা গালাগালি নয়। এরাও মানুষ। তাদের প্রতিনিয়ত যা নয় তাই বলা হয়েছে। তারা মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গৌরী এবং তাঁর বোনেরা এই জীবন দীর্ঘসময় ধরে কাটাচ্ছেন।"
একজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলা নেহাতই সহজ ছিল না সুস্মিতার কাছে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে, শারীরিক গঠন। সুস্মিতা বলেন, "বুকে ব্যান্ডেজ বেধে, ক্রচ পড়ে শুটিং করেছি। একজন পুরুষালি চেহারার অধিকারী হতে গিয়ে ওজন বাড়াতে হয়েছে। গৌরীর সঙ্গে থেকে অনেকটা শিখেছি"। এমনকি নিজের গলার আওয়াজেও বদল এনেছেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, "আলাদা করে ডাব করা হয়েছিল। গলার স্বরে দরাজ ভাব, পুরুষালি ভাব আনতে হয়েছিল।"