সিনেমাটিক অ্যাঙ্গেলে বিচার করতে গেলে, পুলিশের চরিত্রে আজ অবধি অনুরাগীরা বেশ কিছু নির্দিষ্ট মানুষকেই চিনে এসেছেন। 'প্রলয়ে'র ক্ষেত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঠিক তেমনই। সেই ছবিতে বিরতির পরবর্তী সময়ে সামান্য একটু ঝলক তাঁর মিললেও, রাজ চক্রবর্তী দশ বছর ধরে, শুধুই ভেবে গিয়েছেন। তাই তো, এবার সিরিজের মাধ্যমে ফিরিয়ে এনেছেন অনিমেষ দত্তকে আবারও।
কিন্তু, চারপাশের যা ঘটনা.. প্রতিনিয়ত পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। দুদিন আগেও বেহালায় সৌরনীলের মৃত্যুকে ঘরে পুলিশকে নিশানায় রেখেছিল গোটা বাংলা। কেউ কেউ আবার এও বলে থাকেন, আজকাল তাদের নীতি নিয়ে প্রশ্ন না করলেই ভাল। সমস্যার সমাধানে তাঁদের টিকিও নাকি খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু, 'আবার প্রলয়ে'র অনিমেষ দত্ত একেবারেই আলাদা। মেয়েদের সুরক্ষায় তিনি তৎপর। গোটা সুন্দরবন একাই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। প্রমাণ করেছেন বাঘ যেখানে তাঁর পাঞ্জা রাখে সেটাই তাঁর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন < ‘আমি গুলিতে নয়, লাথ-ঘুষিতে বিশ্বাসী…’, কেন একথা বললেন শ্বাশ্বত? >
তবে, অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এর কাছে কি বাস্তব জীবনে এমনটা মনে হয়, যে কোথাও গিয়ে পুলিশের নীতিবোধ কমে গিয়েছে কিংবা লোপ পেয়েছে? প্রশ্ন যেতেই অভিনেতা বললেন.. "প্রথম কথা, তো এটাই বলব যে সব গলিতে গলিতে অনিমেষ দত্ত থাকা উচিত। কিন্তু, আমার কোনওভাবেই মনে হয় না, যে পুলিশের নীতি অথবা দায়িত্ববোধ এখনও কমেছে। তাহলে তো রাজ্যটা শেষ হয়ে যেত। তাঁরা তাদের দায়িত্ব খুব ভাল করেই পালন করছেন। আর একটা কথা না বললেই নয়, তাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটা করে অনিমেষ দত্ত আছে। তারা সহজে সেটা দেখায় না। তাঁর অর্থ এটা নয় যে কোনোদিন দেখাবেন না।"
একজন স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার। চূড়ান্ত নীতিবাগিশ এমনকি অনিমেষ দত্তর পায়ের গতির সঙ্গে সঙ্গে কেঁপে ওঠে সেই সুন্দরবনের অলিগলি। কিন্তু, অভিনেতা সাফ জানালেন ভীষণ হুজুগে, মজাদার ইন্ডাস্ট্রির 'অপুদা'র আড়ালেও কিন্তু একটা অনিমেষ দত্ত রয়েছে। সেটা যারা দেখেছে তাঁরাই জানে।