যদিও বা একটুও স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো আবহাওয়া নয়, তারপরেও এই প্রচন্ড গরমে রিলিজ করতে চলেছে বসন্ত এসে গেছে। আর এই সিরিজে লিড ভূমিকায় দেখা যাবে স্বস্তিকা দত্তকে। তো, তাঁর জীবনে বসন্তের ভূমিকা ঠিক কতখানি?
কাজ করার পাশাপশি, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনাও কম নেই। কিন্তু বসন্ত তার জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকায় রয়েছে। একেই নতুন জুটি, তাঁর পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের চরিত্র! কেমন বুঝলেন সবটা? জানালেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে।
কী ভেবে এবং কেন এই চরিত্রটায় হ্যাঁ বললে?
এটা না বললেই নয়, যে আমার নম্বরটা পরিচালককে দেওয়া হয়েছিল। আর সত্যি বলতে গেলে আমি নিজে অভিমুন্য দার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম। তাই, আরও বেশি করে হ্যাঁ বলা। আমি যখন আলাপ করছি, তখন এই সুযোগটা আসে। তারপর যেটা হল, আমি স্ক্রিপ্ট শুনেই বললাম, যে এটা আমি করব। মানে, আমি সময় নিই নি। আমি চাই নি, এই চরিত্রটা আর কেউ করুক। চন্দ্রিমা চরিত্রটা যদি অন্য কেউ করত, তাহলে খুব খারাপ লাগত।
আমি কিন্তু হিংসা-প্রতিযোগিতা এসব থেকে অনেক দূরে। কিন্তু, এই চরিত্রটা হাতছাড়া হোক, আমি চাইনি।
একজন খুব দৃঢ় নারীর ভুমিকায় বলেই কি এতটা ভাললাগা?
সেটার কারণ হচ্ছে, এই চরিত্রটা একদম অভিনয়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এটায় আমার অনেক অভিনয় করার জায়গা ছিল। কিছুটা বলতে পারো, আমার আগ্রহ জেগেছিল। অভিনয় যদি নাই দেখাতে পারি, তাহলে আর কী করলাম। আমি জানি না কতটা ভাল করেছি, কিন্তু চেষ্টা করেছি।
অর্পণের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম কাজ, অভিজ্ঞতা?
ওকে আমি আগে থেকে চিনতাম। গভীর জলের মাছ করেছিলাম ওর সঙ্গে। আর আসলে, কী বলো তো, আমার সঙ্গে কাজ করতে কারওর অসুবিধা হয় না। আমি খুব ব্রো জোনে কাজ করতে ভালবাসি। আর এই সিরিজটা, এত চাপ ছিল। মানে, টেলিভিশনে অনেক সিন থাকে। কিন্তু বসন্ত এসে গেছে তাঁকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল। সারাদিনে ১৬টা করে সিন। প্রচণ্ড চাপ ছিল। অর্পণকে দেখে যেমন মনে হয়, ও আসলে সেরকম না। ওর সেন্স অফ হিউমার খুব ভাল। একটু চুপচাপ, তবে খুব সহযোগিতা করে। আমার সব সিন ওর সঙ্গেই ছিল…
কেউ কেউ বলেছেন কলঙ্ক সিনেমার মতো এই সিরিজ…
আরেহ, কী আর বলি। কেউ কেউ তো এমনও বলেছে এটা নাকি পুরোটাই কপি। দেখো, একটা কথা বলি, আমার মনে হয় কম-বেশি সিয়িরাল সিরিজের গল্প একই ছকে বাঁধা। এবার তাঁর আউটলাইনটা কেমন সেটা বোঝার। কিন্তু, আমি এটুকু বলতে পারি, এটা নিয়ে আগে কাজ হয়নি। একটা সিরিজ দেখে আমাদেরও মনে হয়, আরেহ! এটা তো এরকম, কিন্তু সব গল্প তো এক না।
তোমার কি মনে হয় একেকটা রঙ জীবনের একেকটা পরিস্থিতিকে বর্ণনা করতে পারে?
একদম পারে। আমার কোনও কোনও দিন সাদা যায়। কোনওদিন কালো যায়। আবার যেদিন আমার মনে হয়, একটু লালা ছড়াই সেদিন লাল। আর যেহেতু লাল রঙটা ভালবাসার রঙ আমরা জেনে এসেছি, তাই বসন্তের সঙ্গে এটা দারুণ মানায়।
নামটা বসন্ত এসে গেছে, কিন্তু এত গরমে রিলিজ কেন?
হাহা… এই না না! রিলিজ ডেট পিছিয়ে যেতে যেতে আজকে এই অবস্থা। যদিও, আমাদের প্ল্যানিং এটাই ছিল যে বসন্ত ঋতু হিসেবে না, তাঁকে ইমশোন হিসেবে ট্রিট করো। মানুষের মন যেন বসন্তের ডাকে সারা দেয়। কারণ, বসন্ত মানেই প্রেম!
তোমার জীবনে, বসন্তের ভুমিকা কতটা?
ঋতু অনুযায়ী ভালবাসা ছাড়ে না। বসন্তে রঙ, ফাগুন-সবমিলিয়ে একটা সুন্দর সময়। যখনই, দোল আসে তখনই একটা প্রেম প্রেম। আর বসন্ত না খুব প্রেমের। আমি যেহেতু প্রেমিক মানুষ, আমার সারাজীবন বসন্ত।
স্বস্তিকা নাকি নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে চাইছে বলেই এত বেশি কাজ করছে?
নানা, একদম না। ব্যাস্ত রাখার কোনও দরকার নেই। আআম্র পরিচালকরা খুব সুন্দর স্ক্রিপ্ট নিয়ে আসছেন। ভাল-খারাপ ভেবেই এগিয়ে যাচ্ছি। কাজের ব্যস্ততা ব্যাক্তিগত জীবনের জন্য হয়না। সবাই আমায় কী ভুল বুঝছে…
শেষ, যে কয়টা কাজ করলে সবথেকে কাছের চরিত্র কোনটা?
মা কি পারে, সন্তানদের মধ্যে ভাগ করতে বলো, ( হাসি )…এখনও অবধি সেরকম প্রিয় কিছু নেই। তোমার খোলা হাওয়ায় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছি।
সম্পর্ক না টেকার পেছনে কী দায়ী বলে তোমার মনে হয়?
দেখো, যেখানে আলোচনা থাকবে, সেখানে সমালোচনা থাকবেই। আমি আমার কাজ নিয়ে ট্রোল বা আলোচিত হলে বেশি খুশি হতাম। কিন্তু, আমার সম্পর্ক নিয়ে যে খুব কিছু শুনেছি সেটাও কিন্তু না। আমার ক্ষেত্রে কেউ বাজে কিছু বলেনি। আর সম্পর্ক ভাঙ্গা-গড়ার পেছনে আমি কিছু বলতে চাই না গো। সকলেই বড় হয়েছে। যে যার নিজের মতো ভাল থাক।
সেদিন ইমন চক্রবর্তীর সঙেগ্ কী কথা হল?
আরেহ, ইমনের সঙ্গে… এটুকুই জিজ্ঞেস করছিলাম যে তুই খেয়ে যাবি নাকি না… কী আর বলব। মানুষ যদি আসলেই বুঝতেন, যে কী নিয়ে কথা হচ্ছে তাহলে তো হয়েই যেত।