প্রেম, প্রেমের আবার বিশেষ দিন হয় নাকি? প্রেম সে তো বাঁধনছাড়া এবং লাগামহীন। ভালবাসার মানুষকে ভালবাসায় বেঁধে রাখতে আবার নির্দিষ্ট কোনও দিন আছে বলে মনেই করেন না অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত। শোভন গাঙ্গুলির সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম তো করছেনই, কিন্তু এবার শুটিং সামলে ভ্যালেন্টাইন্স ডের কিছু বিশেষ প্ল্যানিং? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে আড্ডায় অভিনেত্রী।
ব্যক্তিগত জীবনে নিজের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কোনওদিনই রাখঢাক নেই স্বস্তিকার। তবে, তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন্স ডে বলে তাঁর কাছে খুব স্পেশ্যাল কিছুই নেই। ভালবাসার দিন বলে আদৌ কি কিছু হয়? উত্তরে তিনি বললেন, "এখন অনুভূতিগুলোও অনেক পাল্টে গেছে। শুধু তাই নয়, আমার কাছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে বলে কিছু হয় না। প্রেমের সংজ্ঞাটা আমার কাছে একটু ভিন্ন। অন্তত, আমি মনে করি, কারওর সঙ্গে যদি ভালবাসায় থাকা যায়, তবে রোজই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তবে, হ্যাঁ চারিদিকে গোলাপ, গিফটস এগুলো তো রয়েছেই তো পারিপার্শিক আবহাওয়াটা জুড়ে একটা প্রেম"।
অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, এবারে তিনি শুটিংয়েই ব্যস্ত থাকবেন। আলাদা করে কোনও প্ল্যানিং একদম নেই। যেহেতু, ভ্যালেন্টাইন্স ডে বিষয়টা তাঁর কাছে উত্তেজক কিছু নয়। তবে, প্যার দোস্তি হ্যাঁ - এইকথায় কিন্তু নিদারুণ ভরসা রয়েছে অভিনেত্রীর। শাহরুখের এই বাণী অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী। কাছের মানুষটিকে আগে একজন ভাল বন্ধু হওয়া প্রয়োজন। স্বস্তিকা বললেন, "একজন ছেলে আর একজন মেয়ে খুব ভাল বন্ধু হতে পারে না। প্রেমিক অথবা প্রেমিকা হতে গেলেও কিন্তু বন্ধু হতে হয়। কারণ, তাঁকে না বুঝলে ভালবাসা যায় না"।
একদিকে বিরাট ব্যস্ততা ধারাবাহিকের শুটিংয়ের, অন্যদিকে গভীর জলের মাছের প্রমোশন। কিন্তু প্রেম করতে গেলে গভীর জলের মাছ হওয়া কতটা প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন স্বস্তিকা? আদৌ কি এটা গুরুত্বপূর্ন। সাফ জানালেন, প্রেম করতে গেলে চোখ কান খোলা রাখা খুব দরকার। শুধু তাই নয়, এও বললেন, "গভীর জলের মাছ শব্দটা আমার কাছে এর অর্থ হল গিয়ে খুব সেয়ানা কেউ। তাই, একটা সময় গিয়ে তো প্রেম করতে গেলে একটু সেয়ানা হতেই হয়। এতে নিজেরও ভাল আবার উল্টো দিকের মানুষটার জন্যও ভাল"।
গভীর জলের মাছ সিনেমায় তাঁর চরিত্রের নাম আরত্রিকা। প্রোমোতে এটুকু পরিষ্কার, একদম ভিন্ন ধাঁচের এক চরিত্রে তিনি অভিনয় করছেন। তবে, প্রেম অথবা সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বস্তিকার থেকে ঠিক কতটা আলাদা আরাত্রিকা? অভিনেত্রীর কথায়, "স্বস্তিকা একদম অন্যরকম। আরাত্রিকা নিচু করতে পছন্দ করে। স্বস্তিকা একদম সেরকম নয়। আমায় যদি আমার বয়ফ্রেন্ড ১৭ ঘণ্টা পরেও মেসেজ করে আমি ২৮ সেকেন্ডও সময় লাগাব না তাঁকে রিপ্লাই করতে। কমিউনিকেশন টা খুব প্রয়োজন। কথা বলা দরকার"।
তবে, লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ শব্দটায় একেবারেই বিশ্বাস করেন না স্বস্তিকা। একই শহরে থেকেও যদি দেখা না হয়, তাহলেও ঠিক আছে। কিন্তু ভিন্ন শহরে আলাদা, নৈব নৈব চ! সারাদিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে রাতের বেলা অন্তত কাছের মানুষকে দেওয়াই যায়, সেটুকু সময় সকলেরই থাকা উচিত বলেই জানিয়েছেন স্বস্তিকা।