অল্প বয়স থেকেই অভিনয় জীবনের শুরু। ছোট থেকেই পরিবারে অভিনয় দেখে বড় হয়েছেন স্বস্তিকা। লাইটস ক্যামেরা অ্যাকশন শুনে বড় হয়েছেন। অভিনয়ের জন্য নানান দৃশ্যে শুটিং করে থাকেন অভিনেত্রীরা, অন্তরঙ্গ দৃশ্য ভীষণ স্বাভাবিক। তবে একবার এমনই এক চরিত্রের কারণে আঙ্গুল উঠেছিল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এর দিকে।
তখন বয়স সবে ২১, এক সন্তানের মা স্বস্তিকা। কিন্তু অভিনয়ের দুনিয়ায় একদম পিক টাইম। সোশ্যাল মিডিয়া তখনও অনেক নীরব। কিন্তু স্বস্তিকাকে নানান সমালোচনার শিকার হতে হয় পরিবার পাড়া প্রতিবেশীদের তরফে। বিনা কারণে দোষারোপ করেছিলেন তাঁরা। কী হয়েছিল আসলে? অভিনেত্রীর কথায়, ছবির দৃশ্যে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হতেই ধিক্কার জানিয়েছিলেন সকলে। নানা কটু কথায় বিঁধেছিলেন স্বস্তিকাকে। অভিনেত্রী বললেন…
“আমার মনে আছে টেক ওয়ান নামে একটা ছবি করছিলাম। একজন নায়িকার জীবন নিয়ে ছিল সেই সিনেমা। যার একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ফিল্ম শুট ফাঁস হয়ে যায় এবং সেটি এমএমএস স্ক্যান্ডাল হিসেবে ছড়িয়ে যায়। একজন নায়িকার জীবন তাঁর কেরিয়ার সবকিছু নিয়ে তৈরি হচ্ছিল এই ছবি। তাই প্রসঙ্গতই, চরিত্রের প্রয়োজনে আমায় মদ্যপ হতে হয়েছে। কিন্তু পর্দার এই চরিত্রকে সকলেই সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন”।
এখানেই শেষ নয়, আর পাঁচজনের মতই নিন্দার ঝড় ওঠে। বেশিরভাগ তাঁর বাবা মাকে ফোন করে বলতে শুরু করেন, যে কি করছে মেয়ে! এধরনের ঘটনা কেউ ঘটায়? এমনকি এও বলেছিলেন কেউ কেউ, যে পরিবারে যত্ন হচ্ছে না বলেই এইকাজ তিনি করছেন। একটা সময় পর বিরক্ত হয়ে যান স্বস্তিকার মা। রেগেমেগে মেয়েকে বলে বসলেন, “U সার্টিফিকেট যুক্ত ছবি করতে পার না? বাচ্চাদের জন্য ছবি করবে। মাতালের চরিত্রে অভিনয় করবে কেন”?
২১ বছরে এক সন্তানের মা, তখন ঠিকভাবে কেরিয়ার শুরুও করেননি। একজন হিরোইন অথচ অল্প বয়সে সন্তানের মা। অভিনেত্রী বলেন, “আমি যখন কাজ শুরু করলাম আমায় সবাই বলেছিলেন আমার মা হওয়ার কথা যেন কেউ জানতে না পারে। তাহলেই বিপদ। কেউ আর হিরোইন হিসেবে আমায় পছন্দ করবে না, আমার চাহিদাও থাকবে না”।
উল্লেখ্য, কালা ছবিতে দেখা যেতে চলেছে তাকে। তৃপ্তি ডিমরি এবং বাবিল খানের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। এর আগেও ক্রিমিনাল জাস্টিস এবং দিল বেচারা ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।