অতিমারী বিধ্বস্ত জনজীবন। চারিদিকে মৃত্যুমিছিল। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। স্বজন হারানোর শোকে মূহ্যমান প্রিয়জনেরা। কেউ জ্বলজ্যান্ত সন্তানকে চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখছেন, তো কেউ বা আবার বয়স্ক মা-বাবাকে হারিয়েছেন। এমনকী করোনার কোপে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মাকেও হারিয়েছে বহু শিশু। মাতৃদুগ্ধ পাওয়া যাবে কোথায়? সেই চিন্তায় যখন আত্মীয়দের কপালে ভাঁজ, সেসব সদ্যোজাতরা খিদের জ্বালায় কেঁদেই চলেছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাতৃদুগ্ধের সন্ধান করে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন ছোট্ট খুদেটিকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য। ভাগ্যের সহায় কেউ বা সেই সাড়ায় ডাক দিয়েছেন, সমস্যা মিটেছে তাদের। আবার কেউ রোজ দুধের শিশুকে নিয়ে যুঝে চলেছে এই অতিমারীতে। কোথায় পাওয়া যাবে মাতৃদুগ্ধ? সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)।
Advertisment
অনেকের কাছেই আজও মাতৃদুগ্ধ বিক্রি করা কিংবা দান করা লোকলজ্জার সমান। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতে ফুটফুটে সদ্যোজাতগুলিকে বাঁচাতে হলে, মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প নেই। তাই মানবিকতার খাতিরেই এই কঠিন সময়ে আরেকটি শিশুকে বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছেন অনেকে। সেই প্রেক্ষিতেই 'মমতা' নামে এক 'ব্রেস্ট মিল্ক ব্যঙ্ক' (Breast Milk Bank) সংস্থা বাংলায় এগিয়ে এসেছে। তারা যেমন এই পরিষেবা দিতে প্রস্তুত, তেমনই সাহায্যে চেয়ে পাঠিয়েছেন এমন বহু মা'র কাছ থেকে যাঁরা কিনা দাতা হিসেবে পাশে দাঁড়াতে পারেন। আর সেই সংস্থার এমন মানবিক উদ্যোগ সম্পর্কেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশদে জানিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা। এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন 'ফিঙ্গারস ক্রসড' সংস্থাকে।
প্রসঙ্গত, এই অতিমারীতে (Pandemic) দিন কয়েক আগেই রক্তদান করতে দেখা গিয়েছিল স্বস্তিকাকে। পাশাপাশি দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যকারীর লিড শেয়ার করে অতন্দ্রপ্রহরীর মতো জানান দিয়ে চলেছেন কোথায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে, কোন হাসাপাতালে বেড রয়েছে কিংবা কোভিড আক্রান্তের রক্তের প্রয়োজন, কোন পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে হবে.. এমন নানা তথ্য। এবার মাতৃহারা সদ্যোজাতদের জন্যও উদ্বিগ্ন হতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে।