বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনে কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। এদিন আন্দোলনকারীদের দমাতে ছোড়া হয় জলকামান, লাঠিচার্জেরও অভিযোগ ওঠে। ছাত্রদের উপর এমন 'অত্যাচার'-এর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন স্বস্তিকা। প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, পুলিশ তো মেরে ফাটিয়ে দিচ্ছে। কোনও কিছু নিয়েই কি প্রতিবাদ করা যাবে না?
রাজনৈতিক রংয়ের উর্দ্ধে গিয়েই স্বস্তিকার মন্তব্য, "পুলিশ মেরে ফাটিয়ে দিচ্ছে। চাকরি চাইতে মিছিল করা যাবে না। কোনও কিছু নিয়েই প্রতিবাদ করা যাবে না। কিছু নিয়ে কথা বললেই হয় বাম, না-হয় ডানপন্থীর তকমা সাঁটা হবে? কেন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায় না? রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় না থেকে প্রতিবাদ করা যায় না?"
গলায় বাঁশি, পায়ে বল, হাতে লাল কার্ড আর মুখে 'খেলা হবে' স্লোগান… বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে এমনই চিত্র দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সেই মিছিল। নবান্নের সামনে ঔদ্ধত্য দেখানো আন্দোলনকারীদের দমাতে ছোঁড়া হয় জলকামান। বাদ যায়নি নির্বিচারে লাঠিচার্জও। বাম-প্রতিবাদের মূল দাবি ছিল- রাজ্যের শূন্যপদ পূরণ, সকলের জন্য খাদ্য-শিক্ষা। তবে অভিযানের কিছুক্ষণ পরই পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে আচমকা নবান্নের সামনে চলে আসেন সিপিএম বিধায়ক তথা বাম ছাত্র নেতা ইব্রাহিম আলি। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশ তাঁদের আটকাতে তৎপর হয়। ইব্রাহিম-সহ ৫ জনকে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। বৃহস্পতিবার বাম অভিযানের সেই ধুন্ধুমার কাণ্ড নিয়েই আওয়াজ তুললেন টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
স্বস্তিকা ছাড়াও বাম শিবিরের নবান্ন অভিযানে লাঠিচার্জ নিয়ে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, তরুণ মজুমদার, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অনীক দত্ত, চন্দন সেন, জয়রাজ ভট্টাচার্য, সৌরভ পালোধী-সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব।